মাত্র ১৪ বছর বয়সে প্রথম প্রেমে পড়েছিলেন স্পেনের টেনিস তারকা রাফায়েল নাদাল। প্রেমিকা ছিলেন বেলজিয়ামের কার্স্টেন ফ্লিপকেন্স। তারও বয়স ছিল ১৪। তবে ‘ভাষাগত’ কারণে তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।
শৈশবকালে কোর্টে একত্রে টেনিস অনুশীলনের সময় পরিচয় হয় নাদাল-ফ্লিপকেন্সে। এরপর প্রেমে জড়িয়ে পড়েন তারা। কিছুদিন যেতে না যেতেই প্রেমের সর্ম্পকে সমস্যা দেখা দিতে থাকে। আর সেই সমস্যাটি হলো- ‘ভাষাগত’ সমস্যা।
কারণ নাদাল ইংরেজি জানতেন না, জানতেন স্প্যানিশ। আর ফ্লিপকেন্স জানতেন ইংরেজি, কিন্তু স্প্যানিশ বুঝতেন না। তাই বাধ্য হয়েই দু’জন মধুর হয়ে উঠা প্রেমের সর্ম্পকের ইতি টানেন।
শৈশবকালে নাদালের সাথে তার প্রেমের সর্ম্পক ফাঁস করলেন ফ্লিপকেন্স। সম্প্রতি একটি ডাচ টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকারে শৈশবের কথা বলতে গিয়ে নাদালের সাথে প্রেমের কথা জানান তিনি।
এক সময় মহিলা এককে বিশ্ব র্যাংকিংয়ের ১৩তম স্থানে থাকা ফ্লিপকেন্স বলেন, ‘শুরু থেকেই আমাদের ভাষা নিয়ে সমস্যা হচ্ছিলো। তারপরও মানিয়ে নেয়ার চেস্টা করেছি। মনের টানে ভালোবাসায় জড়িয়ে পড়ি আমরা।
আমরা লং ড্রাইভে যেতাম, একসাথে খাওয়া-দাওয়া করতাম। সময়টা ভালোই ছিলো। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যে ভাষা নিয়ে সমস্যা বাড়তেই থাকে। তাই নিজেদের ইচ্ছায় আমরা সর্ম্পকে ছেদ টানি। তবে চুম্বনের বেশি এগোয়নি সেই সর্ম্পক।’
ফ্লিপকেন্সের সাথে সর্ম্পকে ছেদ হওয়ার পর মারিয়া পেরেলোর সাথে পরিচয় হয় নাদালের। দীর্ঘদিন প্রেমের পর স্পেনে জন্ম নেয়া পেরেলোর সাথে গত অক্টোবরে বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ হন নাদাল।
টেনিস ক্যারিয়ারে ৩৪ বছর বয়সী ফ্লিপকেন্স, চারটি গ্র্যান্ডস্ল্যাম খেলেছেন। কোনটির শিরোপা জিততে পারেননি। তার সেরা অর্জন ২০১৩ সালে উইম্বলডনের সেমিফাইনাল খেলা।
মাত্র ১৪ বছর বয়সে প্রথম প্রেমে পড়েছিলেন স্পেনের টেনিস তারকা রাফায়েল নাদাল। প্রেমিকা ছিলেন বেলজিয়ামের কার্স্টেন ফ্লিপকেন্স। তারও বয়স ছিল ১৪। তবে ‘ভাষাগত’ কারণে তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।