নানা অঘটনের মধ্য দিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে শিরোপা জিতে রেকর্ড গড়লেন ২১ বছর বয়সী জাপানি নারী নাওমি ওসাকা। দুইবারের উইম্বলডন জয়ী পেত্রা কেভিতোভাকে হারিয়ে এশিয়ার প্রথম টেনিস তারকা হিসেবে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠবেন তিনি।
মেলবোর্ন পার্কের রড লেভার অ্যারেনায় শনিবার ফাইনালে প্রথম সেট জয়ের পর দ্বিতীয় সেটেও ৫-৩ গেমে এগিয়ে ছিলেন ওসাকা। ওখান থেকে টানা চার গেম জিতে দ্বিতীয় সেট জিতে নেন চেক রিপাবলিকের কেভিতোভা। কিন্তু শেষ সেটে আর পেরে ওঠেননি তিনি। দুই ঘন্টা ২৭ মিনিটের লড়াইয়ে ৭-৬, ৫-৭, ৬-৪ গেমে জেতেন ২১ বছর বয়সী ওসাকা।
এই সাফল্যে র্যাঙ্কিংয়ে সিমোনা হালেপকে পেছনে ফেলে শীর্ষে উঠে আসবেন ওসাকা। প্রথম এশিয়ান হিসেবে ‘নাম্বার ওয়ান’ খেলোয়াড় হবেন তিনি। আর অষ্টম বাছাই হিসেবে টুর্নামেন্ট শুরু করা কেভিতোভা উঠবেন দ্বিতীয় স্থানে।
একই সঙ্গে কারোলিন ওজনিয়াকির পর কম বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ওঠার কীর্তি গড়বেন ওসাকা। ২০১০ সালে ২০ বছর বয়সে র্যাঙ্কিংয়ের চূড়ায় উঠেছিলেন ডেনমার্কের ওজনিয়াকি।
গত সেপ্টেম্বরে ইউএস ওপেন জিতে গড়েছিলেন প্রথম জাপানি হিসেবে কোনো গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের অনন্য কীর্তি। এবার তুলে ধরলেন বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপা। সেই সঙ্গে গড়লেন দারুণ এক কীর্তি।
২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের জেনিফার ক্যাপ্রিয়াতির পর প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে নিজের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের পর টানা দ্বিতীয় গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের স্বাদ পেলেন চতুর্থ বাছাই হিসেবে টুর্নামেন্ট শুরু করা ওসাকা।
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দে যেন ভাষা হারিয়ে ফেলেন ওসাকা। অল্প কথায় সবাইকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
“আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমার দলকে ধন্যবাদ। আমার মনে হয় না, আপনাদের ছাড়া এই সপ্তাহে এসব কিছু আমি করতে পারতাম। এক জন টেনিস খেলোয়াড়ের পেছনে দারুণ একটা দল থাকে। তাই ধন্যবাদ আপনাদের।”
চ্যাম্পিয়ন ওসাকাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে কেভিতোভা বলেন, “দারুণ একটা ফাইনাল হলো। ভালো খেলেছো নাওমি। তার দলকেও অভিনন্দন, তুমি সত্যিই খুব ভালো খেলেছো। নাম্বার ওয়ান হওয়ায় তোমাকে অভিনন্দন।”