৩৬৪ দিন পর টেনিসের একক আসরে ফিরেছিলেন মার্কিন নারী টেনিস তারকা সেরেনা উইলিয়ামস। তবে প্রত্যাবর্তনটা খুব একটা সুখকর হয়নি তার জন্য। উইম্বলডনের এই আসর দিয়েই অভিষেক হওয়া হারমনি ট্যানের বিপক্ষে হেরেছেন সেরেনা।
সেরেনা উইলিয়ামসের কাছে তুলনায় শিশু বলা যায় ফরাসি নারী টেনিস খেলোয়াড় হারমনি ট্যানকে। ১৯৯৭ সালে জন্ম নেওয়া ট্যান এবারই প্রথম উইম্বলডন খেলতে এসেছিলেন। অথচ তার জন্মের দুই বছর আগেই কুইবেকে বেল চ্যালেঞ্জে পেশাদার টেনিস কোর্টে অভিষেক হয়েছে সেরেনা উইলিয়ামসের।
ম্যাচের প্রথম রাউন্ডে ৭-৫, ১-৬, ৭-৬ (১০-৭) সেরেনার বিপক্ষে জয় তুলে নিয়েছেন হারমনি। সেরেনাকে হারানোটা তার কাছে রীতিমতো স্বপ্নের মতো।
হারমন বলেন, "হ্যাঁ, স্বপ্নের মতো লাগছে। ছোটবেলায় সেরেনাকে টিভিতে দেখেছি। আমার কোচ নাথালিয়ে তাউজিয়াত ২০ বছর আগে তাঁর সঙ্গে খেলেছে। সে (সেরেনা) কিংবদন্তি। ২৩ গ্র্যান্ড স্ল্যামজয়ী কারও মুখোমুখি হলে ভয় লাগবেই। কোর্টে নামার পর আমিও ভীত ছিলাম। কিন্তু জিততে পেরে ভালো লাগছে।"
তবে ৪০ বছর বয়সী সেরেনাও লড়াই করেছেন। প্রথম সেটে পিছিয়ে পড়ার পর দ্বিতীয় সেট জিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। ম্যাচ পয়েন্ট বাঁচিয়েছেন, টাই-ব্রেক সহ প্রায় ৩ ঘণ্টা ১১ মিনিট লড়েছেন হারমনির বিপক্ষে। যদিও শেষ পর্যন্ত হার মানতে হয়েছে ওপেন যুগে সর্বোচ্চ ২৩ গ্র্যান্ড স্ল্যামজয়ী তারকাকে।
তবে প্রত্যাবর্তনে হারলেও হতাশ হচ্ছেন না সেরেনা। বয়স পৌঁছেছে চল্লিশের কোঠায়, ফলে অবসরের প্রসঙ্গও উঠছে। তবে সেরেনা অবসরের বিষয়ে সরাসরি কিছু বলেননি। এমনকি পরের উইম্বলডনে খেলবেন কিনা সে প্রশ্নের উত্তরে পরিষ্কার করে কিছু বলেননি তিনি।
“ইউএস ওপেনে প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম জিতেছি। এটা তাই বিশেষ কিছু। স্বাভাবিকভাবেই এই টুর্নামেন্টে খেলার অন্য রকম প্রেরণা পাব। আপাতত খেলা তো শুরু করেছি। দেখা যাক কী ঘটে, তারপর এ নিয়ে ভাবা যাবে” যোগ করেন সাতবারের উইম্বলডন 21016চ্যাম্পিয়ন সেরেনা।
হারমনি অভিষেক ম্যাচটা যে ফ্রেমে বাঁধিয়ে রাখতে চাইবেন এটা বলাই যায়। কেননা, সেরেনাকে হারিয়ে যে খেলোয়াড়ের উইম্বলডন যাত্রা শুরু হয় সেতো এত মুহুর্ত জীবনেও ভুলতে চাইবেন না।
স্পোর্টসমেইল২৪/এসকেডি