ফেঞ্চ ওপেনের পর নাদাল উইম্বলডনে খেলবেন কি-না তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল শঙ্কা। ইনজুরির ভয়াল থাবা সরিয়ে তিন বছর পর উইম্বলডনে ফিরছেন রাফায়েল নাদাল। এদিকে অভিষেকের পর প্রথমবারের মতো উইম্বলডনে খেলবেন না রজার ফেদেরার। এতেই ফেদেরার অভাব অনুভব করছেন নাদাল।
১৯৯৮ সালে জুনিয়র উইম্বলডন দিয়ে অল ইংল্যান্ড ক্লাবে পা রাখেন রজার ফেদেরারের নাম। পরের বছরই অভিষেক সিনিয়র টুর্নামেন্টে। এরপর থেকে যতবার উইম্বলডন মাঠে গড়িয়েছে প্রত্যেকবারই ছিল এই সুইস তারকার নাম। ২০০৩ সালে প্রথম উইম্বলডনের জয়ের স্বাদ পাওয়া ফেদেরার এই টুর্নামেন্ট জিতেছেন রেকর্ড আটবার।
রেকর্ড শিরোপাজয়ী ৪০ বছর বয়সী ফেদেরারকে দেখা যাবে না তার হাঁটুর চোটের কারণে। একই কারণে বছরের প্রথম দুই গ্রান্ডস্ল্যাম টুর্নামেন্ট অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ও ফরাসি ওপেনে খেলেননি তিনি।
এদিকে বছরের প্রথম দুই গ্র্যান্ডস্লাম জয়ী নাদাল বছরের তৃতীয় গ্র্যান্ডস্লাম জয়ের লক্ষ্যে উইম্বলডনে নামবেন। মাঠে নামার নামার আগে তাই ফেদেরার না থাকায় কিছুটা রঙ হারিয়েছে বলে জানান তিনি।
নাদাল বলেন, “আমি মনে করি, কোনো না কোনোভাবে আমরা একে অপরকে অনুপ্রাণিত করি। আমি সবসময় ভাবতে চেয়েছি আমার প্রেরণা কখনোই অন্যদের কারণে আসে না, এটি নিজের থেকে আসে। তবে অবশ্যই, তার মতো প্রতিদ্বন্দ্বী থাকলে সেই ব্যাপারগুলো জানতে সাহায্য করে যে, নিজের আরও ভালো করতে হবে।”
অবশ্য পায়ের চোটের কারণে নাদালের খেলা নিয়েও জেগেছিল শঙ্কা। ফ্রেঞ্চ ওপেনে প্রতি ম্যাচের আগে ব্যথানাশক ইনজেকশন নিয়ে মাঠে নামা নাদাল এবার সুস্থ হয়েই মাঠে নামছেন। তবে ঠিক কতদিন এইভাবে থাকতে পারবেন তা এখনও নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
এই বিষয়ে নাদালের ভাষ্য, “আমি বলতে পারি না যে, আমি এই ইতিবাচক মুহূর্তে এক সপ্তাহ, দুই দিন বা তিন মাসের জন্য থাকব। অবশ্যই, আমি যে চিকিত্সা নিয়েছি তাতে আমার চোট পুরোপুরি ঠিক হয়নি, উন্নতি হয়নি, তবে এটি কিছুটা ব্যথা দূর করতে পারে। এটাই মূল লক্ষ্য।”
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর