ফ্রেঞ্চ ওপেনে কোয়ার্টার ফাইনালে নামার আগে রাফায়েল নাদাল জানিয়েছিলেন, এটাই হতে পারে রোলা গারোতে তার শেষ ন্যাচ। কথাটা নাদাল ভুল বলেননি। ফিটনেসের দিক দিয়ে নাদালের চেয়ে যোজন এগিয়ে ছিলেন প্রতিদ্বন্দ্বী নোভাক জকোভিচ। কিন্তু রোলা গারো যাকে দু’হাত ভরে দিয়েছে, তাকে শূন্য হাতে ফেরায়নি। শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ে জকোভিচকে হারিয়ে সেমিফাইনালে পৌছে গেছেন নাদাল।
বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার (৩১ মে) মধ্যরাতে ম্যাচের শুরু থেকেই বিধ্বংসী রূপে ধরা দিলেন নাদাল। তার একেকটি সার্ভ আগুনের ফুলকির মত জকোভিচের দিকে ধেয়ে যাচ্ছিলো। তাতে রোলা গারোর রাজার কাছে কোনঠাসা হয়ে পড়েন সার্বিয়ান তারকা। পুরো সময় আধিপত্য ধরে রাখলেন নাদাল।
লড়াইয়ের ব্যাপ্তি ছিল সোয়া চার ঘণ্টারও বেশি। ম্যাচ গড়িয়েছে চার সেটে। এই দুইটা জিনিসেই অনুমান করা যায় লড়াইটা ঠিক কেমন ছিল। চার সেটের দিকে তাকালে আরও স্পষ্ট হবে ম্যাচের চিত্র। ৬-২, ৪-৬, ৬-২, ৭-৬ (৭-৪) গেমে জিতে ১৫তম বারের মতো ফরাসি ওপেনের সেমিফাইনালে পা রাখেন নাদাল।
ম্যাচের প্রথম সেটে নাদালের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি জকোভিচ। দ্বিতীয় সেটে র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর তারকার শুরুটা ছিল আরও খারাপ। এক পর্যায়ে ব্যবধান ৩-০ করে আনেন নাদাল। তবে ষষ্ঠ ও দশম গেমে সার্ভিস ব্রেক করে ১-১ সেটে সমতা টানেন জকোভিচ।
চতুর্থ সেটে প্রথমবারের মতো প্রথম গেম জিতেন জকোভিচ। একবার সার্ভিস ব্রেক করে ম্যাচ পঞ্চম সেটে নেওয়ার সম্ভাবনাও জাগান। তবে নাদালের পাল্টা আঘাতে টিকেনি জোকারের প্রতিরোধ। ১৩ বারের চ্যাম্পিয়নকে আটকানোর সাধ্য এদিন সার্বিয়ান তারকার ছিল না।
এই নিয়ে মোট ৫৯ বার মুখোমুখি হলেন জকোভিচ ও নাদাল। তাতে জকোভিচের জয় ৩০ বার, নাদালের জয় ২৯টি। ঐদিকে রোলা গারোতে এ নিয়ে ১৫তম বারের মতো সেমিফাইনালে পা দিয়েছেন স্প্যানিশ তারকা। এর মধ্যে শিরোপার স্বাদ পেয়েছেন রেকর্ড ১৩ বার।
সেমিফাইনালে নাদালের প্রতিপক্ষ আলেক্সান্ডার জেভেরেভ। যিনি হারিয়েছেন কার্লোস আলকারাজকে। শুক্রবার (৩ মে) জেভেরেভের মুখোমুখি হবেন নাদাল। বছরের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতে পুরুষ এককে রেকর্ড ২১টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের রেকর্ড গড়েন নাদাল। সংখ্যাটাকে এবার বাড়িয়ে নেওয়ার পালা।
স্পোর্টসমেইল২৪/এএইচবি