ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ‘পাগলাটে’ সিদ্ধান্তের জেরে আসন্ন উইম্বলডন থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিতে পারেন বিশ্বের এক নম্বর টেনিস খেলোয়াড় নোভাক জোকোভিচ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগীতায় রাশিয়ান খেলোয়াড়দের নিষিদ্ধ করা শুরু হয়েছে। সার্বিয়ান টেনিস তারকা নোভাক জোকোভিচ প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে এই নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন।
আসন্ন উইম্বলডন প্রতিযোগিতায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী রাশিয়ান ও বেলারুশের খেলোয়াড়দের নিষিদ্ধ করেছেন। আর এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন সার্বিয়ান টেনিস তারকা নোভাক জোকোভিচ। এমনকি প্রতিযোগিতাতে অংশ নাও নিতে পারেন তিনি।
ছয় বারের উইলম্বডন জয়ী নোভাক জোকোভিচ মনে করেন খেলাধুলায় রাজনীতি টেনে আনা উচিত নয়। ইউক্রেনের রাশিয়ার হামলার জন্য রাশিয়ান অ্যাথলেটরা কোনভাবেই দায়ী নয় বলে মত এই সার্বিয়ান টেনিস তারকার।
জোকোভিচ বলেন, “সাধারণ সবসময় কষ্ট পায়। বলকানে আমাদের অনেক যুদ্ধ হয়েছে। বলা হচ্ছে আমি উইম্বলডনের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করতে পারি না। এটা কখনোই অ্যাথলেটদের দোষ নয়। যখন খেলাধুলাতে রাজনীতি ঢুকে তখন তার ফল খুব একটা ভালো হয় না।”
জোকোভিচের সাবেক কোচ পিলিচর কণ্ঠেও ছিল একই অভিযোগের সুর। তখন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে ‘পাগল’ বলেছিলেন পিলিক। জোকোভিচের সাবেক কোচ বলেন, “বরিস জনসন পাগল। রুভলেভ ও মেদভেদেভের পুতিনের সিদ্ধান্ত নিয়ে কিছু করার নেই, তারা শুধু বাকি সবার মতো টেনিস খেলতে চায়।”
বরিস জনসনের সিদ্ধান্তের জন্য আসন্ন উইলম্বডনে রুভলেভ ও মেদভেদেভের অংশ নেওয়া এখন শঙ্কার মুখে। জোকোভিচের কোচ আশা করছেন জোকোভিচ ছাড়াও আরো অনেকেই নিজেদের নাম প্রত্যহার করবে আসন্ন টুর্নামেন্ট থেকে। পিলিচ এবং তার সতীর্থরা ১৯৭৩ সালে একবার যুগোস্লোভিয়া ফেডারেশনের অধীনে হওয়া ডেভিস কাপ বয়কট করেছিলেন। পিলিচ বলেন “খেলাধুলায় রাজনীতি অনেক বেশি ঢুকে গেছে এবং বর্তমান পরিস্থিতি অনেকটা ১৯৭৩ সালের মত।“
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে কোভিড নিয়ম ভঙ্গের দায়ে তাকে অস্ট্রেলিয়া ওপেন থেকে নিষিদ্ধ করেছিল টুর্নামেন্ট কর্তৃপক্ষ। এরপর আদালত পর্যন্ত বিষয়টি গড়ালেও শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে আর নামা হয়নি তার। ফ্রেঞ্চ ওপেন দিয়ে আবারও টেনিসের বড় মঞ্চে ফিরবেন বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকা।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর