চলতি বছরের মার্চে হঠাৎ করেই টেনিস কোর্টকে বিদায় জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান টেনিস তারকা অ্যাশলে বার্টি। তার অবসরের খবরে হতবাক হয়ে গিয়েছিল টেনিস বিশ্ব। এবার জানা গেলো, বার্টির অবসরের খবরে অঝোর কেঁদেছিলেন পোল্যান্ডের টেনিস তারকা ইগো সুইয়েটেক।
মিয়ামি ওপেনে নারীদের এককে শিরোপা নিজের করে নিয়েছেন সুইয়েটেক। সেই সঙ্গে বার্টিকে হটিয়ে দখল করে নিয়েছেন টেনিস র্যাংকিংয়ের এক নাম্বার জায়গাটিও। তাতে অবশ্য মনে কোনো আনন্দ নেই পোলিশ তারকার। বরং বার্টির অবসর তাকে বেশ কষ্ট দিয়েছিল।
বিবিসি স্পোর্টকে সুইয়েটেক বলেন, ‘অ্যাশের (বার্টি) অবসরের খবরে আমি ৪০ মিনিট ধরে কেঁদেছিলাম। আমি জানতাম না যে আসলেই এটি ঘটবে। তার অবসর সত্যিই আমাকে বেশ অবাক করেছিল। আমি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম।’
নিজেদের একটা লক্ষ্য ছিল বলেও জানালেন সুইয়েটেক। তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল যে, আমরা ৩৫ বছর পর্যন্ত আমরা সবাই খেলব। যতক্ষণ না আমাদের শরীর এত ক্লান্ত হয়ে পড়ে। আমরা ততদিন খেলে যেতে চেয়েছিলাম।’
তবে বার্টির সিদ্ধান্তকেও সম্মান জানাতেও কুন্ঠবোধ করলেন না মিয়ামি ওপেনজয়ী তারকা। তিনি বলেন, ‘তিনি (বার্টি) অবশ্য কী ভেবেছিলেন তা বোঝার দরকার নেই আমার। তার সিদ্ধান্ত সত্যিই সাহসী ছিল, এ কারণেই আমি অনেক আবেগ অনুভব করেছি।’
মিয়ামি ওপেনে ভিক্টোরিজা গোলুবিকের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় রাউন্ডে জয়ের মাধ্যমে নারীদের টেনিস র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান দখল করেন সুইয়েটেক। সেখান থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাননি তিনি। শিরোপা নিশ্চিত করে তবেই কোর্ট ছাড়েন ২০ বছর বয়সী তারকা।
মিয়ামি ওপেনের ফাইনাল জেতার মধ্য দিয়ে কয়েকটি রেকর্ড করেছেন সুইয়েটেক। পোল্যান্ডের টেনিস ইতিহাসে র্যাংকিংয়ের শীর্ষে পৌছানো একমাত্র টেনিস তারকা তিনি। চলতি বছর সবচেয়ে শিরোপা জেতার রেকর্ডও তার। এর মধ্য আছে ফ্রেঞ্চ ওপেনের শিরোপাও।
স্পোর্টসমেইল২৪/এএইচবি