স্পোর্টসমেইল২৪
টেনিস দুনিয়ার সর্বকালের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় সেরেনা উইলিয়ামস বিয়ে করেছেন। টেনিসে একের পর এক রূপকথা লিখে এসেছেন যিনি, তার বিয়ে হলো রূপকথার মঞ্চেই। বিয়ের থিম ছিল ‘বিউটি অ্যান্ড দ্য বিস্ট।’ এর গানের সঙ্গে নিচেও নাচলেন সেরেনা।
ছত্রিশ বছর বয়সি সেরেনা দীর্ঘদিনের বন্ধু অ্যালেক্সিস ওহানিয়ান-কে বিয়ে করেছেন। নিউ অর্লিয়েন্সে বিয়ের অনুষ্ঠানে অনেকেই বলেছিলেন, ‘পুরো পরিবেশটা মোহময় হয়ে উঠেছিল। মনে হচ্ছিল, একটা স্বপ্নরাজ্যের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি।’ সত্যিই তাই, মার্কিন প্রচারমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বিয়েতে রাতভর নেচেছেন সেরেনা। সঙ্গে স্বামীকে ছাড়াও পেয়েছেন বেয়ন্সের মতো তারকাকে।
বিয়ের অনুষ্ঠানে অন্যরা বলাবলি করছিলেন, দুর্দান্ত একটা অনুষ্ঠান হলো। সবাই খুব উপভোগ করেছে। অতিথিদের কাউকে কাউকে তো ভোর পর্যন্ত পার্টিতে দেখা গিয়েছে। আরও কিছু অভাবনীয় ব্যাপার দেখা গিয়েছে বিয়ের আসরে। তারমধ্যে- সেরিনা পরেছিলেন স্নিকার! সারা রাত নাচতে হবে তো! বিয়ের আসরে হাজির থাকা অতিথিদের হাতে উপহার হিসেবে তুলে দেওয়া হয় বিভিন্ন ট্রফিও।
বিয়ের কথা ঘোষণা করার আগে অন্য একটি ঘোষণায় গোটা দুনিয়ায় সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন সেরিনা। যখন তিনি ঘোষণা করেন, অস্ট্রেলীয় ওপেন জেতার সময় তিনি অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। অবিশ্বাস্য এই তথ্য সামনে আসার পরে নিজেকে অন্য রকম উচ্চতায় নিয়ে যেতে পেরেছিলেন সেরেনা।
সেরেনা আর অ্যালেক্সিসের মধ্যে প্রথম দেখা হয়েছিল বছর কয়েক আগে রোমের এক হোটেলে। হোটেলের রেস্তরাঁয় প্রাতরাশ করছিলেন সেরেনা। কাছের টেবিলেই বসেছিলেন অ্যালেক্সিস। তাকে দেখে একটু বিরক্ত হয়ে পড়েন সেরেনা। অ্যালেক্সিস-কে ওখান থেকে সরানোর মতলবেই বলে ওঠেন, ‘এই হোটেলে অনেক ইঁদুর আছে।’ যা শোনার পরে অ্যালেক্সিসর পাল্টা জবাব ছিল, ‘আমি ব্রুকলিনের ছেলে। জীবনে প্রচুর ইঁদুর দেখেছি। সব সময় দেখি।’ এ কথা শোনার পরে সেরিনা তাকে ডেকে নেন পার্টিতে। বাকিটা, যাকে বলে ইতিহাস।
