ইউক্রেনের উপর আগ্রাসন চালাচ্ছে রাশিয়া। রুশ সেনাবাহিনীকে রুখতে দেশের জন্য জীবনবাজি রেখে লড়ছেন ইউক্রেনীয়রা। সেই যুদ্ধ ছড়িয়ে গেলো টেনিস কোর্টেও। তাতে ইউক্রেনের হয়ে লড়ছেন এলিনা সভিতোলিনা। মন্তেরেই ওপেনের প্রথম রাউন্ডে তিনি হারিয়েছেন রাশিয়ার আনাস্তাসিয়া পোতাপোভাকে।
ব্যাপারটা খেলাধুলার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও পোতাপোভাকে হারিয়ে সভিতোলিনা জানান, তার লড়াই দেশের জন্য। এখানে খেলে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সারা বিশ্বের টেনিস খেলোয়াড়দের ঐক্যবদ্ধ করাই তার লক্ষ্য। এই টুর্নামেন্ট থেকে পাওয়া পুরো টাকাটাই ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে দিবেন তিনি।
ম্যাচের শুরুতে অবশ্য পোতাপোভার বিপক্ষে খেলতে রাজি ছিলেন না সভিতোলিনা। পরে ওমেন’স টেনিস অ্যাসোসিয়েশন (ডাব্লিউটিএ) রাশিয়া ও বেলারুশের খেলোয়াড়দের দেশের নাম নিষিদ্ধ করে নিরপেক্ষ খেলোয়াড় হিসেবে খেলতে বলে। এরপর আর কোনো আপত্তি না করে খেলতে নামেন সভিতোলিনা।
মন্তেরেই ওপেনের প্রথম রাউন্ডে দেশের পতাকার সাথে মিলিয়ে হলুদ গেঞ্জি ও নীল স্কার্ট পড়ে খেলতে নেমেছিলেন সভিতোলিনা। মনে এতোটাই জেদ পুষে নেমেছিলেন যে তার সামনে পাত্তাই পাননি রাশিয়ান তারকা পোতাপোভা। ২৭ বছর বয়সী সভিতোলিনা সরাসরি সেটে জেতেন ৬-২, ৬-১ গেমে।
দেশে চলছে যুদ্ধ, আর তিনি টেনিস কোর্টে। ম্যাচ শেষে নারীদের টেনিস র্যাঙ্কিংয়ের ১৫ নম্বরে থাকা সভিতোলিনা জানান, দেশের এই অবস্থায় মন ভালো তার নেই। তিনি বলেন, ‘আমি আমার দেশের জন্য একটি মিশনে নেমেছি। মন খুব খারাপ। কিন্তু এখানে দেশের হয়ে লড়াই করতে পেরে ভালো লাগছে।’
ইউক্রেনীয় টেনিস তারকা আরও বলেন, ‘আমার লক্ষ্য ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমাদের টেনিস সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ করা। ইউক্রেনকে সাহায্য করা। ইউক্রেনীয়ারা ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আমি ইউক্রেনের সেনাবাহিনী ও সাধারণ মানুষদের সাহায্য করার জন্য খেলছি। সব অর্থ তাদের জন্যই।’
স্পোর্টসমেইল২৪/এএইচবি
[আমরা এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ইনস্টল করুন আমাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপস ]