কেরিয়ারের সেরা নজির৷ বছরের শুরুতে একটানা ১৭টি ম্যাচ আগে কখনও জেতেননি ফেদেরার৷ এই নিরিখে ইন্ডিয়ান ওয়েলসের কোয়ার্টার ফাইনাল জিতেই টপকে গিয়েছেন ১২ বছর আগের ব্যক্তিগত রেকর্ড৷ ২০০৬ সালে মরশুমের প্রথম ১৬টি ম্যাচ জিতেছিলেন রজার৷ ধরে রেখেছেন বিশ্ব ব়্যাংকিংয়ের শীর্ষস্থান৷ অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ও রোটারডামে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর মরশুমের তৃতীয় খেতাবের দিকে সঠিক পথেই এগচ্ছিলেন সুইস কিংবদন্তি৷ শেষমেশ বিজয় রথ থামল ইন্ডিয়ান ওয়েলসের ফাইনালে এসে৷ শেষ হার্ডলে রজারকে আটকে দিলেন পেশাদার সার্কিটে ফেদেরারের নিহন্তা হিসাবে পরিচিত জুয়ান মার্টিন দেল পোত্রো৷
মুখোমুখি লড়াইয়ের ইতিহাস বলছে ১৮-৭ একতরফা ব্যবধানে আর্জেন্টাইন তারকাকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন রজার৷ তবে ফেদেরারের বিরুদ্ধে দেল পোত্রোর সাতটা জয়ের বেশ কয়েকটা এসেছে বড় আসরে৷
২০০৯ যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের ফাইনালে প্রথমবার ফেদেরারকে পরাস্ত করেন দেল পোত্রো৷ সপ্তমবারের প্রচেষ্টায় রজারকে হারিয়ে এ যাবৎ কেরিয়ারের একমাত্র গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেতাব ঘরে তোলেন তিনি৷ সুইস তারকাকে দু’বার হারিয়েছেন বাসেল ইন্টারন্যাশনালের খেতাবি লড়াইয়ে৷ গত বছর যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ছিটকে দেওয়ার পর এবার ইন্ডিয়ান ওয়েলসের ফাইনালে ফেদেরারকে পরাস্ত করেন জুয়ান মার্টিন৷
২ ঘণ্টা ৪২ মিনিটের উত্তেজক লড়াই শেষে ফেদেরারকে ৬-৪, ৬-৭ (৮/১০), ৭-৬ (৭/২) সেটে পরাজিত করেন দেল পোত্রো এবং জিতে নেন ইন্ডিয়ান ওয়েলস মাস্টার্সের খেতাব৷ চলতি মরশুমে ফেদেরারের এটিই প্রথম হার৷ অন্যদিকে দেল পোত্রোর এটি উপর্যুপরি দ্বিতীয় খেতাব জয়৷ এই নিয়ে একটানা ১১টি ম্যাচ জিতলেন আর্জেন্টাইন তারকা৷