প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসে থমকে গেছে পুরো পৃথিবী। ক্রীড়াবিদদের কাছেও সময়টা বেশ কঠিন। খেলাধুলার বাইরে থাকায় ফিটনেস হারানোসহ অনেকে হতাশাও ডুবে যাচ্ছেন। তবে কঠিন এ সময়ে নেগেটিভ চিন্তা না করে পজিটিভ থাকা এবং ভাবনা জরুরি বলে জানিয়েছেন ভারতীয় টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা।
লকডাউনের মাঝে আনন্দবাজার ডিজিটালকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে এমন কথা বলেন সানিয়া। করোনার মাঝে হতাশা থেকে নিজেকে বাঁচানোর মন্ত্র কী? -এমন প্রশ্নের জবাবে সানিয়া বলেন, এক্সারসাইজে নিজেকে ব্যস্ত রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটা হতাশা কাটিয়ে মনকে ইতিবাচক রাখবে। এখানে পজিটিভ থাকা, পজিটিভ ভাবনা জরুরি। নেতিবাচক কিছু মনে রাখলে চলবে না।
তিনি বলেন, আমাদের সবাইকে এখন একজোট হয়ে থাকতে হবে। এ পরিস্থিতি সামলাতে হবে এক হয়ে। বেশি এগিয়ে নয়, বর্তমানে থাকতে হবে। এ পরিস্থিতিকে কাটিয়ে ওঠার মতো মনের জোর আনতে হবে, সেই চেষ্টা করতে হবে। আর অবশ্যই ধন্যবাদ জানাতে হবে উপরওয়ালাকে, নিজের ও পরিবারের সবার সুস্থ থাকার জন্য।
এর আগে সন্তান জন্মের জন্য প্রায় দু’বছর টেনিস খেলার বাইরে ছিলেন তিনি। এখন করোনার কারণে খেলতে পারছেন না। একজন ক্রীড়াবিদের কাছে এমন লম্বা সময় বসে থাকা সহজ নয় বলেও জানান সানিয়া মির্জা।
তিনি বলেন, এটা মোটেই সহজ নয়। তবে এটা আমার হাতেও নেই। এটার সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে চলতে হচ্ছে সবাইকে। ইতিবাচক রাখছি মনকে। নিজেকে কাজে-কর্মে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করছি। সুস্থ থাকার দিকে নজর দিচ্ছি। তবে মাতৃত্বের ব্রেকের থেকে এটা (করোনা) একেবারেই অন্য রকমের একটা ব্যাপার। এর আগে চোটের জন্যও কোর্টের বাইরে থাকতে হয়েছে। এখন এটাই শুধু প্রার্থনা, আমরা সবাই যেন এর থেকে সুস্থ দেহে বেরিয়ে আসতে পারি।
ভারতে নারীদের টেনিসের ভবিষ্যৎ নিয়ে সানিয়া বলেন, ভারতে নারী টেনিসের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। অদূর ভবিষ্যতে এমন কাউকে পেতেই পারি, যে কি না বড় প্রতিযোগিতায় সফল হবে, সাড়া ফেলবে। অঙ্কিতা রায়না, করমন কৌর থান্ডির কথা বলতে পারি। দু’জনেই প্রতিশ্রুতিবান, খুব ভালো। তবে এখনও কেউ বিশ্বের সেরা ১০০ জনে আসতে পারেনি। এটা তাদের করতে হবে। আশা করি, ওরা এটা করে দেখাবে।
করোনার কারণে টানা সাত মাস স্বামীকে কাছে না পাওয়ার বিষয়ে পাকিস্তানি বধূ সানিয়া বলেন, হ্যাঁ, এটা খুব কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে চলছি আমরা। এটার সঙ্গে ধাতস্থ হওয়া মুশকিলের। আমরা সেই চেষ্টাই করছি। ছেলে ইজহানের কাছেও ব্যাপারটা কষ্টকর। তবে ও বুঝতে পারে সবটাই। যদিও বাবাকে দীর্ঘদিন দেখতে পায়নি।
তিনি আরও বলেন, আমরা এটাকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করছি, অন্যভাবে। এখন সুস্থ থাকাতেই প্রাধান্য দিচ্ছি। এ মুহূর্তে শোয়েব ইংল্যান্ডে রয়েছে। সিরিজ শেষ হলেই ও আসবে। আশা করছি, সপ্তাহ দু’য়েকের মধ্যে ও আমাদের কাছে এসে পড়বে।
[sportsmail24.com এর ওয়েবসাইট এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও ব্রাউজ করে পড়তে পারবেন। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস থেকেও খেলাধুলার সকল নিউজ পড়তে পারবেন। ইনস্ট্রল করুন স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস ]