করোনার কারণে বন্ধ হয়ে আছে বিশ্বের সবধরনের খেলাধুলা। এই ভাইরাসের কবলে পড়ে সঙ্কটময় অবস্থা বিরাজ করছে পুরো বিশ্বে। এই সঙ্কটময় অবস্থা কাটিয়ে উঠতে বিভিন্নভাবে মানুষের পাশে এসে দাঁড়াচ্ছেন ক্রীড়াবিদরা। এবার তালিকায় যুক্ত হলেন নিউজিল্যান্ড নারী ক্রিকেট দলের ব্যাটসম্যান কেটি পারকিন্স। তবে তা একটু ভিন্নভাবে।
একজন নারী ক্রিকেটারের পাশাপাশি তার আরও একটি পরিচয় আছে। তিনি নিউজিল্যান্ডের পুলিশের একজন সদস্য। ২০১৩ সালে পুলিশ হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় দায়িত্ব অর্জন করেছিলেন কেটি।
২০১৮ সালে চোটের কারণে দল থেকে বাদ পড়েন কেটি। দল থেকে বাদ পড়ার পর পূর্ণকালীন কাজ শুরু করেন তিনি। তবে তা বেশিদিন দীর্ঘায়িত হয়নি। দলে আবার ডাক পাওয়ায় ছেদ পড়ে তার কাজে। খেলেছেন সদ্য শেষ হওয়া নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মত লকডাউন চলছে নিউজিল্যান্ডেও। লকডাউন চলছে পারকিন্সের শহর অকল্যান্ডেও। এখন খেলার বাহিরে থাকায় অকল্যান্ডের ম্যাঙ্গেরে স্ট্রিটসে পুলিশ হিসেবে কাজ করেছেন তিনি।
এই ব্যাপারে অকল্যান্ড ভিত্তিক গণমাধ্যম ওয়ান নিউজকে কেটি পারকিন্স বলেন, ‘ক্রিকেট মাঠে হোয়াইট ফার্ন পরা আমার কাছে সবসময়ই স্বপ্নের মতো ছিল। তবে এই সময়ে এই পোশাক (পুলিশের) পরে নিজের সম্প্রদায়ের মানুষের কাজে আসাটা আমার কাছে অনেক গুরুত্ব রাখে। যেহেতু এই মুহূর্তে ক্রিকেট খেলার বালাই নেই তাই এই পোশাক পুনরায় পরার সিদ্ধান্ত নিতে আমার জন্য কষ্ট হয়নি।’
পুলিশি টহল দিতে থাকা কেটি পারকিন্স খেলতে চান নারীদের বিশ্বকাপে। তিনি বলেন, ‘ক্রিকেট আমার কাছে একটা উপহারের মত। যদি আমি পরবর্তী বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাই তাহলে সেটা দারুণ হবে। আর যদি তেমনটা না হয়? তাহলেও সমস্যা নেই, এটাই জীবন।’
নিউজিল্যান্ড নারী দলের হয়ে ৭০ টি আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ও ৫২ টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ৩১ বছর বয়সী কেটি পারকিন্স। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান দুই ফরম্যাট মিলে রান করেছেন ১৫০০ এর বেশি।
করোনাভাইরাসের কারণে নিউজিল্যান্ডে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে মোট ১৪০১ জন আর মারা গিয়েছে ৯ জন। অপরদিকে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছে ৭৭০ জন।