প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের এ মহামারির মধ্যে অনেক হাসপাতালে পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) ছাড়াই চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। ইতোমধ্যে বাংলাদেশে এক চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। দেশের এমন পরিস্থিতিতে চিকিৎসকদের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেন মুশফিকুর রহিম ও রুবেল হোসেন।
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের উইকেটরক্ষক ও ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম তার নিজ এলাকা বগুড়ার ডাক্তারদের ২০০ পিস পিপিই, ২০০টি হ্যান্ড গ্লাভস ও ২০০টি মাস্ক দিয়েছেন।
বগুড়ার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. সামির হোসেন মিশু গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মুশফিকের দেওয়া পিপিই ও অন্যান্য সামগ্রী তারা হাতে পেয়েছেন। ইতোমধ্যে যাদেরকে সম্ভব হয়েছে এগুলো সরবরাহ করা হয়েছে। বাকিদের কাছে শিগগিরই এগুলো পৌঁছে দেওয়া হবে।
এদিকে মুশফিক ছাড়াও নিজ এলাকা বাগেরহাটে শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপের জন্য ২০টি ইনফ্রারেড থার্মাল স্ক্যানার দিয়েছে জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার রুবেল হোসেন। বুধবার (১৫ এপ্রিল) বাগেরহাট পৌরসভার মেয়রের কাছে এসব স্ক্যানার সরবরাহ করা হয়।
বাগেরহাট জেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে ৮টি, পুলিশ বিভাগকে ৬টি, জেলা প্রশাসনকে ৩টি, বাগেরহাট পৌরসভাকে একটি এবং সদর উপজেলা পরিষদকে দু’টি ইনফ্রারেড থার্মাল স্ক্যানার দেওয়া হয়েছে। বাগেরহাটের বিভিন্ন চেক পোস্ট এলাকায় পুলিশ এটি ব্যবহার করবে।
বাগেরহাট পৌর মেয়র খান হাবিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, বাগেরহাটের গর্ব বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার রুবেল হোসেন মানুষের জন্য ২০টি ইনফ্রারেড থার্মাল স্কানার দিয়েছেন। এর ফলে জেলার মানুষের উপকার হবে।
প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত (১৫ এপ্রিল) ১ হাজার ২৩১ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া তাদের মধ্যে মারা গেছেন ৫০ জন এবং চিকিৎসা গ্রহণের পর ভালো হয়েছেন ৪৯। দেশব্যাপী এ ভাইরাস থেকে বাঁচতে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি ছুটি বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া বন্ধ রয়েছে সকল ধরনের ক্রীড়া ইভেন্ট।