করোনাভাইরাসে প্রতিনিয়ত আক্রান্ত হচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। প্রাণঘাতি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানের দল রেইমসের ৬০ বছর বয়সী চিকিৎসক বার্নার্ড গনজালেজ ও তার স্ত্রী। করোনার সাথে যুদ্ধ না করে বরং পরাজয় মেনে নিয়ে আত্মহত্যা করলেন এই চিকিৎসক।
বার্নার্ডের আত্মহত্যার খবরটি নিশ্চিত করছেন রেইমসের মেয়র আর্নড রবিনেট। বার্নার্ডের চলে যাওয়ায় শোকাহত পুরো ও ঐ শহর। ২৩ বছর ধরে ক্লাবে কাজ করছেন তিনি।ক্লাবের দুর্দিনে বিনামূল্যে চিকিৎসা দিতেন বার্নার্ড। তাই তো সকলের কাছে তিনি ছিলেন প্রিয় ব্যক্তি। তার মৃত্যু কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেন না শহরবাসী।
বার্নার্ডের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে রবিনেট বলেন, ‘তিনি আমাদের ক্লাবের চিকিৎসক ছিলেন। দারুণ পেশাদার একজন তিনি। যে কারণে সবাই তাকে ভালবাসে, সম্মান করে। তার পরিবারের জন্য আমার গভীর সমবেদনা। তিনি কোভিড-১৯ আক্রান্ত ছিলেন। আমি জানি তিনি একটা সুইসাইড নোট লিখেছেন। আমি সেটা পড়িনি।
এছাড়া ক্লাবের প্রেসিডেন্ট পিয়েরে কাইলট বলেন, ‘আমার কিছু বলার ভাষা নেই। আমি এই খবরে বিমূর্ত হয়ে গেছি। রেইমসের হৃদয়ে আঘাত করলো এই মহামারী। তিনি (বার্নার্ড) রেইমসের একজন ব্যক্তিত্ব ছিলেন, ক্লাবের অন্যতম সেরা পেশাদার ছিলেন।’
কাইলট আরও বলেন, ‘ক্লাবের সঙ্গে ২০ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করেছেন তিনি। নিজের কাজের ক্ষেত্রে পেশাদারিত্বে কখনও ছাড় দেননি। পুরোপুরি নিঃস্বার্থভাবে কাজ করেছেন। ক্লাবের খারাপ সময়ে বিনামূল্যে সেবা দিয়েছেন। নিজের কাজকে একটা শিল্প বানিয়েছিলেন তিনি। তার মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত।’