সময়ের বির্বতনে ক্রিকেটে নতুন নতুন সব নিয়ম সংযোজন হয়। তারই ধারাবাহিকতায় নতুন করে যোগ হয়েছিল বৃষ্টি আইন বা ডার্কওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতি। ক্রিকেট ইতিহাসে অনেক ম্যাচের ফল নির্ধারণ হয়েছে এই পদ্ধতিতে। সেই ডার্কওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতির জনক টনি লুইস মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।
১৯৯২ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম ইংল্যান্ড ম্যাচের কথা মনে আছে? এক সময় প্রোটিয়াদের প্রয়োজন ছিল ১৩ বলে ২২ রান। অথচ এমন সময় বেরসিক বৃষ্টি আসে। সেসময়ের নিয়মানুসারে তখন দক্ষিণ আফ্রিকার লক্ষ্য দাঁড়ায় ১ বলে ২১ রান, যা রীতিমতো প্রহসনের জন্ম দেয়। এরপরই উদ্ভাবন হয় বিখ্যাত ডার্কওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতি যা সংক্ষেপে ডিএল মেথড নামে পরিচিত।
বিখ্যাত গণিতবিদ ফ্রাংক ডাকওয়ার্থ ও লুইস মিলে উদ্ভাবন করেছিলেন এই পদ্ধতি, যা প্রথম ব্যবহার করা হয় ১৯৯৬-৯৭ মৌসুমে জিম্বাবুয়ে বনাম ইংল্যান্ড ম্যাচে। দুজন মিলে উদ্ভাবন করেছিলেন বিধায় দুজনের নামেই এই পদ্ধতির নামকরণ করা হয়।
১৯৯৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) আনুষ্ঠানিকভাবে এ আইন গ্রহণ করে। ২০১৪ সালে কুইন্সল্যান্ডের আরেক গণিতবিদ স্টিভেন স্টার্ন আধুনিক ক্রিকেটের স্কোরিং-রেট বিবেচনায় এই বৃষ্টি আইনে সামাঞ্জস্য আনেন। সেই সঙ্গে ডার্কওয়ার্থ ও লুইসের সঙ্গে এই আইনে নাম জুড়ে যায় স্টার্নের। ২০১৫ বিশ্বকাপ থেকে চালু হয় ডার্কওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতি।