ছিলেন রেফারি, করোনা লড়াইয়ে এখন তিনি নার্স

স্পোর্টসমেইল২৪ স্পোর্টসমেইল২৪ প্রকাশিত: ০৬:০৯ পিএম, ২৯ মার্চ ২০২০
ছিলেন রেফারি, করোনা লড়াইয়ে এখন তিনি নার্স

করোনাভাইরাসের দাপটে মানুষের জীবনযাপন বদলে গেলেও পেশা বদলের তেমন ঘটনা নেই। তবে ইরাগারজে ফার্নান্দেজের ক্ষেত্রে সেটিই ঘটলো। ছিলেন একজন ফুটবল রেফারি, তবে করোনাভাইরাসের কারণে এখন হয়ে উঠেছেন পুরোদমে একজন নার্স।

মানুষ বাঁচলে তবেই না ফুটবল বাঁচবে। করোনা ঝড় একদিন থেমে যাবে। তবে কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে তা কেউ বলতে পারছেন না। ইরাগারজে ফার্নান্দেজ তাই ফুটবল ছেড়ে এখন নেমেছেন করোনার মোকাবেলার যুদ্ধে।

তিনি একা নন, ২৬ বছর বয়সী ইরাগারজের পদাঙ্ক অনুসরণ করেছেন রেফারি জুদিত রোমানো আর এলেনা প্যালেজরাও। তিনজনই এখন হাসপাতালে নার্স হিসেবে কাজ করছেন।

স্পেনের নারী ফুটবলের শীর্ষ প্রতিযোগিতা লা লিগায় রেফারিং করেন ইরাগারজে। পুরুষদের ফুটবলের তৃতীয় বিভাগের আসর সেগুন্দা বি’তেও রেফারি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তবে গত প্রায় পাঁচ বছর ধরে তিনি বিলবাওয়ের রেকালদে হেলথ সেন্টারে নার্সিং প্র্যাকটিস করছিলেন।

তার পেশা রেফারিং হওয়ায় এতদিন নার্সিং থেকে দূরে ছিলেন। তবে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের দিনে তিনি এখন নার্সিং করছেন। তার মতে, আগে জীবন রক্ষা পরে ফুটবল।

স্পেন প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে লকডাউন চলছে। আরও দুই সপ্তাহ সেখানে লকডাউন থাকবে। যদিও লগডাউনের মেয়াদ আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর এ অবস্থায় যতটা সম্ভব দেশের মানুষের সেবা দিতে চাচ্ছেন ইরাগারজে ফার্নান্দেজ।

ওভাইডোর সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে অ্যানেসথেসিওলজিস্ট হিসেবে কাজ করছেন ইরাগারজে ফার্নান্দেজ। এছাড়া তার বোন জুদিত রোমানোও স্বাস্থ্যসেবায় মন দিয়েছেন।

স্পেনে এখন পর্যন্ত ৭৮ হাজার ৭৯৭ জন করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৪ হাজার ৭০৯ জন ভালো হয়েছে। তবে প্রাণঘাতি এ ভাইরাসে মারা গেছেন ৬ হাজার ৫২৮ জন। দেশটিতের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার ১৪ শতাংশ।



শেয়ার করুন :


আরও পড়ুন

বিপর্যয় কাটিয়ে ভবিষ্যত সূচি করবে আইসিসি

বিপর্যয় কাটিয়ে ভবিষ্যত সূচি করবে আইসিসি

সহায়তার জন্য ফাউন্ডেশন গঠন করলেন সাকিব

সহায়তার জন্য ফাউন্ডেশন গঠন করলেন সাকিব

ঘরবন্দি কোহলির চুল কাটছেন আনুশকা

ঘরবন্দি কোহলির চুল কাটছেন আনুশকা

করোনা নিয়ে ব্রাভোর গান ‘আমরা হাল ছাড়ছি না’

করোনা নিয়ে ব্রাভোর গান ‘আমরা হাল ছাড়ছি না’