নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরের মসজিদে গুলি চালিয়ে ৫১ জনকে খুনের দায় স্বীকার করেছেন অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক ব্রেন্টন ট্যারেন্ট। একই সঙ্গে আরও ৪০ জনকে হত্যার চেষ্টা ছিল তার। যেখানে পড়তে পারতেন তামিম-মুশফিকরাও।
বন্দুকধারী ব্রেন্টন ট্যারেন্ট যে মসজিদে হামলা চালিয়েছিলেন সেখানে নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। হামলার স্থান থেকে মাত্র ৫০ গজ দূরে ছিলেন তামিম-মুশফিক-মিরাজরা।
ওই ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী হামলার পর বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার তিন ম্যাচের শেষ টেস্টটি বাতিল ঘোষণা করা হয়। পরে সফর শেষ না করে দেশে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ-তামিমরা।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) ক্রাইস্টচার্চ হাইকোর্টে সংক্ষিপ্ত শুনানিতে টারান্ট ওই হামলার দায় স্বীকার করেন অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক ব্রেন্টন ট্যারেন্ট। এর আগে গত বছর জুনে আদালতে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন তিনি।
করোনাভাইরাসের কারণে পুরো নিউজিল্যান্ড লকডাউন অবস্থায় রয়েছে। যে কারণে আদালতে কোনো জনসাধারণকে উপস্থিত থাকতে দেওয়া হয়নি। টারান্টের আইনজীবীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
শুনানিকালে বিচারপতি ক্যামেরন ম্যান্ডার বলেন, ‘এটি দুঃখজনক, যখন আসামি দোষ স্বীকার করলো তখন বর্তমানে আরোপ করা কভিড-১৯ বিধিনিষেধের কারণে আহত ও হতাহতদের পরিবারের সদস্যরা আদালতে উপস্থিত থাকতে পারলো না।’
২০১৯ সালের ১৫ মার্চ দেশটির ক্রাইস্টচার্চ শহরের দুটি মসজিদে জুমার নামাজে আসা মুসল্লীদের ওপর সশস্ত্র বন্দুকধারী ট্যারেন্ট আধা-স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। ট্যারেন্ট তার হামলার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকেও সরাসরি সম্প্রচার করে। ওই হামলায় মোট ৫১ জন প্রাণ হারান।