করোনাভাইরাসের প্রভাবে স্থবির হয়ে পড়েছে পুরো বিশ্বই। ইতোমধ্যে বাংলাদেশেও করোনার প্রভাব পড়েছে। দেশের ক্রান্তিকাল সময়ে খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়ালেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ওপেনার লিটন দাস ও তার স্ত্রী সঞ্চিতা। বুধবার (২৫ মার্চ) লিটন দাসের স্ত্রীর এক ফেসবুক পোস্টে এমনই ইঙ্গিত মিলল।
সঞ্চিতা লিখেছেন, ‘এ মুহূর্তে এর চেয়ে বেশি কিছু করার সামর্থ্য আমার নেই। সাহায্য করারও কেউ নেই। শেষ মুহূর্তে আমরা যতটুকু পেরেছি কেনার চেষ্টা করেছি। কাজটা ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। কারণ এখন ঘরে নিজেকে আটকে (কোয়ারেন্টিন) রাখার সময়। দয়া করে অন্যদের সাহায্য করতে যা যা সম্ভব করুন। আপনার এ সাহায্য বাকিদের জীবনে আশীর্বাদ বয়ে আনুক।’
তিনি আরও লিখেন, ‘লিটন দাস, এই সংকটময় মুহূর্তে তুমি আমাকে যেভাবে সাহায্য করেছ, তা কখনো ভুলব না। ধন্যবাদ।’
সঞ্চিতার যখন এ পোস্ট করেছেন প্রায় একই সময়ে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লিটন করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ক্রিকেটারদের উদ্যোগ নিয়ে একটি পোস্ট করেন।
লিটন দাসের স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো-
‘আপনারা সবাই জানেন করোনাভাইরাসের সংক্রমণে চারদিকে ক্রমেই ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯ রোগ। এই রোগ প্রতিরোধে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে পুরো বিশ্ব। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে যার যার জায়গা থেকে। সেটির অংশ হিসেবে আমরা ক্রিকেটাররা একটা উদ্যোগ নিতে যাচ্ছি, যেটি হয়তো অনুপ্রাণিত করতে পারে আপনাদেরও।’
‘বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থাকা ও গত তিন মাসে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা আমরা মোট ২৭ ক্রিকেটার এক মাসের বেতনের ৫০ শতাংশ দিয়ে একটা তহবিল গঠন করেছি। এই তহবিল ব্যয় হবে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত ও সাধারণ মানুষ, যাদের গৃহবন্দী থাকা অবস্থায় জীবন চালিয়ে নিতে অনেক কষ্ট হয়। আমাদের তহবিলে জমা পড়েছে প্রায় ৩০ লাখ টাকার মতো। কর কেটে থাকবে ২৬ লাখ টাকা।’
‘করোনার বিরুদ্ধে জিততে হলে আমাদের এই উদ্যোগ হয়তো যথেষ্ট নয়। কিন্তু যাদের সামর্থ্য আছে সবাই যদি এক সঙ্গে এগিয়ে আসেন কিংবা ১০জনও যদিও এগিয়ে আসেন, এই লড়াইয়ে আমরা অনেক এগিয়ে যাব।...টাকা দিয়ে না হোক, হতে পারে দুস্থ মানুষকে খাবার কিনে দিয়ে। আসুন পুরো দেশকে আমরা একটা পরিবার ভেবে চিন্তা করি এবং এই বিপদে সবাই সবাইকে সহায়তা করি।’