যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে দেশের ক্রীড়াঙ্গনের সাফল্যে বঙ্গবন্ধু পরিবারের অবদান নিয়ে রচিত মুজিববর্ষের স্মারক গ্রন্থ ‘ক্রীড়ানুরাগী বঙ্গবন্ধু পরিবার’ এর মোড়ক উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (১৬ মার্চ) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বইটির সম্পাদক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এবং যুব ও ক্রীড়া সচিব মো. আকতার হোসেনের উপস্থিতিতে মুজিব জন্মশতবর্ষের বিশেষ প্রকাশনাটির মোড়ক উন্মোচন করেন।
জয়ীতা প্রকাশনীর ‘ক্রীড়ানুরাগী বঙ্গবন্ধু পরিবার’ শিরোনামের বইটিতে দেশের ক্রীড়াঙ্গনের সাফল্যে বঙ্গবন্ধু পরিবারের অবদান তুলে ধরা হয়েছে। ৭৮ পৃষ্ঠার এ বইয়ে স্থান পেয়েছে শতাধিক আলোকচিত্র, যার অনেকগুলোই দুর্লভ। বইটির প্রচ্ছদ ও গ্রন্থপরিকল্পনা করেছেন শাহরিয়ার খান বর্ণ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, কার্যালয়ের সচিব, প্রেস সচিব, পিএস-১, পিএস-২, এপিএস-১ সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
খেলাধুলার প্রতি বঙ্গবন্ধু পরিবারের ভালোবাসা দীর্ঘদিনের। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পিতা শেখ লুৎফর রহমান ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ ছিলেন। ফুটবল খেলতেন আর গোপালগঞ্জ অফিসার্স ক্লাবের ফুটবল টিমের প্রধানও ছিলেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও শৈশব থেকে পিতার মতোই ক্রীড়াপ্রেমী ছিলেন। তিনি ছিলেন গোপালগঞ্জ মিশনারি স্কুল ফুটবল টিমের প্রধান। রাজনীতিতে ব্যস্ত হয়ে পড়লেও খেলাধুলার প্রতি বঙ্গবন্ধুর আগ্রহ একটুও কমেনি। এছাড়া ঢাকায় তিনি ওয়ান্ডারার্স ক্লাবে ফুটবল ও ভলিবল খেলেছেন।
বঙ্গবন্ধুর পরবর্তী প্রজন্মরাও সাই ক্রীড়াপ্রেমী। তার বড় ছেলে শেখ কামাল ফুটবল, ক্রিকেট, বাস্কেটবল, হকিসহ বিভিন্ন খেলায় পারদর্শী ছিলেন। আবাহনী ক্লাব প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে দেশে ফুটবলের আধুনিকায়নে তার অবদান চিরস্মরণীয়। তার স্ত্রী সুলতানা কামালও ছিলেন দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নারী অ্যাথলেট।
বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্রীড়াপ্রেম সম্পর্কে সবা্র্বই জানে। সরকার পরিচালনায় ব্যস্ততার মধ্যেও তিনি বিভিন্ন সময় খেলোয়াড়দের উৎসাহিত করেছেন ও ব্যক্তিগতভাবে তাদের খোঁজখবর নেন। এ ছাড়া দেশের ক্রীড়াঙ্গনে তার নানামুখী উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে দেশ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাপক সাফল্য অর্জিত হচ্ছে।