ইতালিতে করোনাভাইরাস ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ায় সিরি’আ লিগ আয়োজন নিয়ে দেখা দিয়েছিল শঙ্কা। বেশ কয়েকটি ম্যাচ দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে আয়োজিতও হয়। তবে সবশেষ দেশটির প্রধানমন্ত্রী জিসেপ্পে কন্টে ঘোষণা দিয়েছেন, দেশটিতে সব ধরনের খেলা বন্ধ থাকবে।
ভাইরাস থেকে সব ধরনের খেলাধুলা বন্ধ ঘোষণা দেওয়ার সময় তিনি এও বলেন, সবকিছুই যেখানে ক্ষতিগ্রস্ত সেখানে ফুটবল ম্যাচ আয়োজনের কোন অর্থ নেই।
সরকারি এ ঘোষণার আগে সর্বশেষ ইতালিয়ান লিগে সাসোলো বনাম ব্রেসিয়ার ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়। দর্শকবিহীন ম্যাচটিতে সাসোলো ৩-০ গোলে জয়ী হয়েছে। প্রথম গোলটি দেওয়ারর পর সাসোলো স্ট্রাইকার ফ্রান্সেসকো কাপুটো এক টুকরো কাগজে নিজের লেখা একটি বার্তা সকলের উদ্দেশে প্রদর্শন করেন। যেখানে লেখা ছিল, ‘সবকিছু দ্রুতই ঠিক হয়ে যাবে। তোমরা সবাই ঘরে থাক।’
এর কয়েক ঘণ্টা পরেই প্রধানমন্ত্রী দেশব্যাপী সব খেলা বন্ধের ঘোষণায় প্রায় একই কথা উচ্চারণ করেছেন। টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে তিনি বলেন, ‘আজ আমি নতুন একটি ফরমানে স্বাক্ষর করতে যাচ্ছি তার মূলকথা হলো- আমি ঘরেই থাকব।’
ইতোমধ্যেই ইতালির বিভিন্ন প্রদেশে ব্যাপকহারে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় প্রতিদিনই নতুন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। মরনঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এরই মধ্যে ইতালিতে মারা গেছেন ৪৬৩ জন। ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চায়নার বাইরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ইতালি।
দেশটিতে সব মিলিয়ে ৯ হাজার ১৭২ জন আক্রান্ত হওয়ার পরপরই ইতালিয়ান সরকার সারাদেশে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। নিষিদ্ধ করা হয়েছে সব ধরনের জনসমাগম।
ঘোষণায় কন্টে বলেন, ‘সবকিছুই যেখানে আজ ক্ষতিগ্রস্ত সেখানে ফুটবল ম্যাচ আয়োজনের কোন অর্থ নেই। সকল সমর্থকদের কাছে আমি এ জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি, এর বিকল্প কিছু আমার হাতে ছিল না। এমনকি এ মুহূর্তে জিমে যাওয়ারও অনুমতি আমরা দিতে পারছি না।’
সিরি-এ মৌসুমে ৩৮টি ম্যাচের মধ্যে ২৬টি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে ল্যাজিওর থেকে এক পয়েন্ট এগিয়ে আটবারের চ্যাম্পিয়ন জুভেন্টাস টেবিলের শীর্ষে রয়েছে। ৯ পয়েন্ট পিছিয়ে ও এক ম্যাচ হাতে রেখে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইন্টার মিলান।