বিপিএলে ন্যাক্কারজনক ঘটনা জন্ম দিলো রংপুর রাইডার্স ও চিটাগং ভাইকিংসের মধ্যকার খেলা। এমন ঘটনা টাইগার ভক্তদের তো বটেই ক্রিকেট বিশ্বেও অপ্রত্যাশিত। সবার প্রিয় ক্রিকেটার মাশরাফির দিকে তেড়ে গিয়ে নিজেকে কী বোঝাতে চেয়েছেন তা শুধু শুভাশিসই জানেন।
এদিকে প্রিয় খেলোয়াড়ের দিকে তেড়ে যাওয়াও ভোক্তদের রোষানলে পড়েছেন জাতীয় দলের পেসার ও বিপিএলে চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে খেরা শুভাশিস রায়। মাশরাফি ভক্তরা রীতিমত তার বিচার দাবি করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয়েছে প্রিয় তারকা ক্রিকেটার মাশরাফির অপমানের প্রতিবাদ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ফখরুল ইসলাম নামে একজন লিখেছেন, ‘মাশরাফির শুধু একজন প্লেয়ারই নন, মানুষ হিসেবেও অসাধারণ। এমন মানুষের সাথে যারা এ ধরনের আচরণ করে সেসব বেয়াদপদের ক্রীড়াঙ্গনে দেখতে চাই না।’
রিপন নামে একজন লিখেছেন, ‘এ ধরনের আচরণ, কথায় নয় খেলার মাধ্যমে প্রকাশ করা উচিত আন্তর্জাতিক ম্যাচে। নিজ দেশের অধিনায়কের সঙ্গে নয়, অধিনায়কের সঙ্গে সিনিয়রদের সঙ্গে কিভাবে আচরণ করতে হয় -এটা শুভাশীষের শিখতে হবে। ওর ব্যবহার সংক্রান্ত জটিলতা আছে।’
আরও পড়ুন>> মাশরাফির সঙ্গে শুভাশিসের এ কেমন আচরণ?
রাকিব মজুমদার নামে একজন লিখেছেন, ‘শুভাশিস ... এতো জুনিয়র, তাও এতো বড় সিনিয়রকে কোনো রেসপেক্ট নাই! ক্রিকেট আজ কোথায় নেমে গেছে? কোথায় গেছে ক্রিকেটের শৃঙ্খলা? কোথায়? এটা কী কোনো অন্যায়ে পড়ে না?’
এদিকে, শুভাশিসকে শুধু কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে তা নয়, রীতিমত তার ক্রিকেট থেকে বিদায় নিতেও বলেছেন কেউ কেউ।
উল্লেখ্য, ম্যাচের ১৭তম ওভারের খেলা চলছিল। ব্যাটসম্যান হিসেবে স্ট্রাইকিং প্রান্তে মাশরাফি বিন মর্তুজা। আর বোলার চিটাগং ভাইকিংসের শুভাশিস রায়। বলটি রক্ষ্মণাত্মক ভঙ্গিতেই খেললেন মাশরাফি। বল চলে গেল সোজা বোলার শুভাশিসের হাতে। শুভাশিস চেয়েছিলেন বলটি থ্রো করতে; কিন্তু করলেন না। বল ছোঁড়ার ভঙি করলেন। এ সময় ব্যাটসম্যান মাশরাফি কিছুটা স্লেজিং করলেন। হাত নেড়ে শুভাশিসকে হয়তো বললেন, নিজের বোলিং মার্কে ফিরে যেতে। আর এতেই তেড়ে যান শুভাশিস।
শুভাশিস যা করলেন, তা অকেটাই সীমালঙ্গন। মাশরাফির দিকে তেড়ে গেয়ে চিটাগাংয়ে খেলা জাতীয় দলের এ পেসার। খুব অসদাচরণ করেন মাশরাফির সঙ্গে। পরে আম্পায়ার এসে দমানোর চেষ্টা করেন শুভাশিসকে। এমনকি তার নিজের সতীর্থ প্রথমে তানবির হায়দার, পরে জিম্বাবুইয়ান ক্রিকেটার সিকান্দার রাজাও এসে শুভাশিসকে নিভৃত করার চেষ্টা করেন। তাতেও যেন কাজ হচ্ছিল না।
এমন পরিস্থিতিতে মাশরাফি কোনো প্রত্যুত্তর করেননি। প্রথমে কিছুটা এগিয়ে এসেছিলেন শুভাশিসের কথা শোনার জন্য। কিন্তু পরে শুধু অবিশ্বাসের ভঙ্গিতে তাকিয়ে ছিলেন শুভাশিসের দিকে। হয়তো ভাবছিলেন, এ কাকে দেখছেন তিনি!