আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
পরে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের বিশ্বকাপ জয়কে মুজিব বর্ষে জাতির জন্য উপহার হিসেবে বর্ণনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দেন, বিশ্বকাপ জয়ী দলটি দেশে ফিরে আসার পরে এ দুর্দান্ত সাফল্যের জন্য তাদেরকে একটি বিশাল সংবর্ধনা দেওয়া হবে।
তরুণ টাইগাররা রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) দক্ষিণ আফ্রিকার পটচেস্টরুমের সেনউইস পার্কে টুর্নামেন্টের ফাইনালে শক্তিশালী ভারতকে তিন উইকেটে পরাজিত করে বিশ্বকাপের আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের আইসিসির অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ট্রফি জয় করাটা মুজিব বর্ষে জাতির জন্য একটি উপহার। ১৯৯৭ সালে আইসিসি টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলকে বর্ণাঢ্য সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল। যখনই বাংলাদেশ দল কোন ট্রপি জিতেছে, আমরা তাদের সংবর্ধনা দিয়েছি। আমরা আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী বাংলাদেশ দলকেও জমকালো সংবর্ধনা দেব।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়রা আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে গত চার বছর কঠোর পরিশ্রম করেছে। পুরো টুর্নামেন্টে দারুণ পারফরমেন্সের মাধ্যমে তারা পরিশ্রমের সুফল পেয়েছে। বাংলাদেশ দল চার বারের আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ভারতীয় দলকে হারিয়েছে। তাদের (বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের) অনেক সাহস আছে এবং তারা ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছে।
বৈঠকে একজন মন্ত্রী বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ের ঘটনাকে বাংলাদেশের খেলাধুলার ইতিহাসের ‘সবচেয়ে বড় অর্জন’ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘এটা বাংলাদেশের খেলাধুলার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সাফল্য। এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই।’