বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরবর্তী বোর্ড সভায় পরিচালক লোকমান হোসেন ভুঁইয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। সোমবার বিসিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দেশের ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসা চালানোর দায়ে সম্প্রতি নিজ বাসা থেকে মাদকসহ লোকমান হোসেনকে গ্রেফতার করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এর আগে ক্লাবে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু ক্যাসিনো সামগ্রী উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় ১২টি ওয়াকিটকি ও টাকা গণনাকারী মেশিনও জব্ধ করা হয়।
গত ৬ অক্টোবর অবৈধ মাদক রাখার দায়ে লোকমানকে জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন ঢাকার একটি আদালত।
গ্রেফতারের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান ওই ঘটনায় ‘হতবাগ’ হয়েছিলেন। মোহামেডান ক্লাবে যে ক্যাসিনো বসানো হয়েছে সেটি একবারের জন্যও তাকে জানাননি লোকমান।
বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেছেন, পরবর্তী বোর্ড সভায় লোকমানের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে। আমাদের বোর্ড সভাপতি আগেই পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, অপরাধ প্রমাণিত হলে লোকমানকে শাস্তি পেতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা এ বিষয়টির অপেক্ষায় রয়েছি। এরপরই তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বোর্ড। আমাদের পরবর্তী বোর্ড সভাতেই তার বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কার্যনির্বাহী পরিষদ, বোর্ডের পরিচালক, বেতনভোগী কর্মচারী এবং খেলোয়াড়দেরকে বাংলাদেশের ক্রিকেটের মর্যাদা ধরে রাখতে হবে। এ বিষয়ে একটি আচরণবিধিও রয়েছে।
গঠনতন্ত্রের ২৫.১.২.৩ ধারায় বলা আছে, কেউ যদি বোর্ডের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার এখতিয়ার বোর্ডের রয়েছে।
এ জন্য বোর্ড একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবে। এতে অপরাধ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার এখতিয়ার বোর্ডের রয়েছে। তবে শাস্তির বিরুদ্ধে ক্রীড়া আদালতে আপিলের সুযোগও থাকছে। বোর্ড পরিচালকদের কাছে এবং সর্বোপরি বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভায়ও এ বিষয়ে আপিল করতে পারবেন।
তবে সাধারণ সভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। সাধারণ সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোথাও আপিল করার সুযোগ নেই।