যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীদের ওপর তীব্র হচ্ছে হিংসার ঘটনা। সম্প্রতি এল পাসোতে বন্দুকধারীর হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ২২ জন। যে ঘটনায় বন্দুকধারীর নিশানায় ছিলেন মেক্সিকানরা। এর আগে বন্দুক হামলার শিকার হয়েছে টেক্সাস, ওহিওসহ যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক শহর।
সব মিলিয়ে বর্ণবিদ্বেষ, অস্ত্রের বিনিয়ন্ত্রণ, অভিবাসী নির্যাতন মার্কিন মুলুকে মাথাচাড়া দিচ্ছে দিনকে দিন। আর এই সমস্ত হিংসার ঘটনায় পেছন থেকে সমর্থন জানাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রতিবাদে পুরস্কার নিতে পোডিয়ামে উঠে হাঁটু গেড়ে বসে প্রতিবাদ জানালেন যুক্তরাষ্ট্রের ফেন্সিং টিমের এক সদস্য রেস ইম্বোডেন।
পেরুর রাজধানী শহর লিমাতে অনুষ্ঠিত প্যান আমেরিকা গেমসে শুক্রবার ফেন্সিংয়ে দলগত বিভাগে সোনা জেতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিযোগীরা। প্রতিযোগীতা শেষে স্বাভাবিকভাবেই পোডিয়ামে পদক নিতে ওঠেন তারা। সেখানেই পুরস্কার গ্রহণের পর জাতীয় সঙ্গীতের সময় হাঁটু গেড়ে বসে পড়েন অলিম্পিকে পদকজয়ী ফেন্সার রেস ইম্বোডেন।
পোডিয়ামে তাঁর হাঁটু গেড়ে বসে পড়ার কারণ হিসেবে পরে টুইটারে তিনি লেখেন, একজন প্রেসিডেন্ট যে প্রতিমুহূর্তে হিংসা ছড়াচ্ছেন, বর্ণবিদ্বেষ-অভিবাসী নির্যাতনের মতো ঘটনাকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েই আমি এই কাজ করেছি।
একইসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, ‘আমাদের প্রত্যেকের অবশ্যই পরিবর্তনের স্বপক্ষে সুর চড়ানো উচিৎ।’ একইসঙ্গে ইম্বোডেন লেখেন, ‘পোডিয়ামে দাঁড়িয়ে আমি এই বিষয়ে প্রত্যেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করলাম এবং আমার মনে হয় এটা প্রয়োজন ছিল। আমি বাকিদেরও বলছি প্রত্যেকে তাদের নিজেদের প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে পরিবর্তনের দাবিতে সরব হোন।’
দলগত বিভাগে সোনা জয়ের আগে ব্যক্তিগত ইভেন্টে কানাডার ম্যাক্সিমিলিয়েন ভ্যানের সঙ্গে ব্রোঞ্জ পদক ভাগাভাগি করে নেন ইম্বোডেন। ইম্বোডেনই প্রথম নন, চলতি আমেরিকান প্যান গেমসে যুক্তরাষ্ট্রের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ে সরব হয়েছিলেন হ্যামার থ্রোয়ার গুয়েন বেরিও। গেমস চলাকালীন রাজনৈতিক বা ধর্মীয় কোনও ইস্যুতে মুখ খুলতে পারবেন না অ্যাথলেটরা।
গেমস শুরুর আগে অ্যাথলেটদের সঙ্গে এমন একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও রেসের এই অভিনব প্রতিবাদকে চুক্তি লঙ্ঘন মানতে নারাজ যুক্তরাষ্ট্রের অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিক কমিটির মুখপাত্র মার্ক জোনস। বরং ফেন্সারের অভিব্যক্তি প্রকাশের ধরনকে সম্মান জানিয়েছেন তিনি।