লন্ডনে আইসিসির দ্বাদশ ক্রিকেট বিশ্বকাপ শুরু হয়েছে গত ৩০ মে। ইতোমধ্যে বিশ্বকাপের উন্মদনা ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে। নিজ দেশের পতাকা টাঙিয়ে রাঙিয়ে তোলা হচ্ছে বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা। তবে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ অংশ নিলেও ফুটবল বিশ্বকাপের মতো এখনও ক্রিকেট বিশ্বকাপে উন্মদনা তৈরি হয়নি।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপে আজ (রোববার) যাত্রা শুরু করছে বাংলাদেশ। লন্ডনের ওভালে বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে তিনটায় শুরু হবে এ ম্যাচটি।
গত তিনদিন (৩০-৩১ মে, ১ জুন) বিশ্বকাপ নিয়ে তেমন একটা উত্তেজনা দেখা না গেলেও বাংলাদেশের ম্যাচকে ঘিরে টাইগার ভক্তদের মাঝে ফিরে এসেছে সেই উন্মাদনা। বাড়ির ছাদে, রাস্তার উপরে দেশের পতাকা টাঙিয়ে সমর্থন জানানোর পাশাপাশি কথা বলছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের বিভিন্ন দিক নিয়ে।
ঈদের কেনাকাটা ও অনেকে গ্রামে বাড়ি যাওয়া নানা প্রস্তুতির মাঝেও বাংলাদেশের বিশ্বকাপ যাত্রা নিয়ে আলোচনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। চায়ের দোকানে বা মোবাইল স্ক্রিনে সবার মুখে এখন একটাই আলোচনা, বিশ্বকাপ ক্রিকেট।
মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের আশেপাশের রাস্তায় টাঙানো হয়েছে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি পতাকা। দেশের সমর্থনে বন্ধুরা মিলে এ বাসা থেকে ও বাসায় রশি দিয়ে টাঙিয়ে দেয়া হয়েছে এসব পতাকা। আবার অনেকেই বাসার ছাদে পতাকা টাঙিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সমর্থন করছেন।
এদিকে ফুটবল বিশ্বকাপে বিভিন্ন দেশের পতাকা দেখা গেলেও ক্রিকেট বিশ্বকাপের তেমনটার সুযোগ নেই। কারণ, বাংলাদেশ বিশ্বকাপ খেলছে। সবাই টাইগারদেরও সমর্থন করছেন। নিজ দেশের বাইরে অন্য কোন দল সমর্থন করা ভাবাটাও ভুল। এমনটাই জানালেন এক টাইগার ভক্ত।
মিরপুর ২ নম্বরে বাংলাদেশের পতাকা টাঙিয়েছেন টিটু নামের এক ভক্ত। স্পোর্টসমেইল২৪.কমের কাছে তিনি বলেন, ফুটবল বিশ্বকাপের সময় পুরো দেশ যেভাবে ফুটবল উন্মদনায় মেতে ওঠে ক্রিকেটে আসলে তেমনটা হচ্ছে না। আমাদের নিজ দেশ খেললেও শুধু লেখার সময় বা জিতলে উল্লাস করি।
তিনি আরও বলেন, সত্য কথা বলতে কী, বিসিবি থেকেও তেমন কোন প্রস্তুতি দেখা যায় না। বিসিবিও তো পারে অন্তত ঢাকাতে বিশ্বকাপের ব্যনার-ফেস্টুন টাঙিয়ে দিতে পারে। আমরা কয়েক বন্ধু মিলে বাংলাদেশের পতাকা টাঙিয়েছি। আজ খেলাও দেখবো একসাথে।
পলাশ নামের আরও এক টাইগার ভক্ত বলেন, বাংলাদেশে ক্রিকেটের ভক্ত নেই এটা ঠিক না। তবে এবার লন্ডনের মতো জায়গায় বিশ্বকাপ হওয়া এবং ঈদের জন্য কিছুটা কম উত্তেজনা দেখা যাচ্ছে। তবে ঈদের পর এটা বাড়বে। এছাড়া এশিয়ার কোন দেশে খেলা হলে এমনিতেই সারাদেশে উত্তেজনা বিরাজ করতো।