ছোট থেকে বড়দের সবাইকে খেলাধুলার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে অসামান্য অবদান রেখে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যার সবশেষ পদক্ষেপ বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ। শনিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে এর সমাপনী ও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে এসেছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। দেশের ক্রীড়াঙ্গনের প্রতিটি ক্ষেত্রে উৎকর্ষতা অর্জনে কাজ করে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন শেখ হাসিনা। একদিন বাংলাদেশ বিশ্বকাপ জিতবে প্রত্যাশা সরকারপ্রধানের।
শনিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে গণবিশ্ববিদ্যালয় ও ফারইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল ফাইনাল শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা জানান প্রধানমন্ত্রী। ফাইনালে গণবিশ্ববিদ্যালয় টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে জেতে, ৬০ মিনিটের নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয় ১-১ গোলে। এই টুর্নামেন্টে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত খেলোয়াড়, শিক্ষক, সংগঠক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিসহ আয়োজক সংস্থা সবাইকে অভিনন্দন জানাই। বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস ২০১৯-এর সমাপনী ও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানাই ধন্যবাদ। এছাড়া ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রত্যন্ত অঞ্চলের সবার প্রতি রইলো আন্তরিক শুভেচ্ছা।’
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পরে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে সরকার গঠন করার পর থেকে আর্থসামাজিক ও দারিদ্র্য মুক্তির জন্য কাজ করছে, পাশাপাশি ক্রীড়াক্ষেত্রে আমাদের ছেলেমেয়েরা যেন আরও বেশি দক্ষতা অর্জন করতে পারে সেই পদক্ষেপও নিয়েছি। প্রায় একটানা ১০ বছর ক্ষমতায় আছে আমাদের সরকার। শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া চর্চায় প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের তরুণ, যুব ও শিশু সমাজ সম্পৃক্ত হবে, এটাই ছিল প্রত্যাশা।’
ছোট থেকে বড়দের সবাইকে ক্রীড়াক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট করার পদক্ষেপ নিয়ে সাফল্যের কথা জানালেন শেখ হাসিনা, ‘আমরা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রতিযোগিতা শুরু করেছি। বঙ্গমাতা প্রাথমিক গোল্ডকাপ টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছি। ছেলেদের বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজনও হয়েছে। গত ১০ বছরে এখান থেকে দক্ষ ফুটবলার গড়ে উঠেছে। অন্য ক্ষেত্রগুলোতেও আমরা প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা নিয়েছি। এবার হলো বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতা।’
বিজয়ী ও বিজিতদের অভিনন্দন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘খেলায় হারজিত থাকবে। আজ হারলে কাল জিতবো। জাতির পিতা সেভাবে নিজেকে গড়ে তুলেছেন, সবসময় হার না মানার মানসিকতা ছিল তার। যে কারণে মুক্তিযুদ্ধে আমরা বিজয় অর্জন করেছিলাম। সেভাবে আজ যারা বিজয়ী, সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে যারা চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ হয়েছে তাদের অভিনন্দন জানাচ্ছি।’
তার পরিবার কতটা ক্রীড়ানুরাগী ছিলেন সেকথাই জানালেন শেখ হাসিনা, ‘খেলাধুলার সঙ্গে আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক। দাদা ফুটবল খেলতেন, বাবাও ফুটবল খেলতেন। শেখ কামাল ও শেখ জামালের স্ত্রী দুজনেই স্পোর্টসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল। খেলাধুলার উন্নয়নে প্রত্যেকটা পদক্ষেপ শেখ কামাল নিয়েছিল।’