মুমিনুল চুপচাপ স্বভাবের। ঠাণ্ডা মেজাজের মানুষ হিসেবেই সবাই তাকে চেনে। খেলেনও টেস্ট ক্রিকেট। মাথা ঠাণ্ডা রেখে ২২ গজে ধীরে ও সুস্থে নিজের কাজটি সেরে আসেন এই টেস্ট স্পেশালিস্ট।
সেই মিস্টার ‘কুলম্যান’ নিজের গায়েহলুদ অনুষ্ঠানে নেচে মাতিয়েছেন সবাইকে। তার নাচগানের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেটি ভাইরালও হয়েছে।
সবসময় চুপচাপ থাকা মুমিনুলকে হলুদে নাচতে দেখে অনেকটাই অবাক হয়েছেন দুই পরিবারের সদস্য ও অতিথিরা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকায় মুমিনুলের গায়েহলুদ অনুষ্ঠান হয়। এটি ঘরোয়া আয়োজনে হলেও দুই পরিবারের সদস্য ছাড়াও ছিলেন তাদের ঘনিষ্ঠ স্বজনরা।
২০১৮ সালের আগস্টে বাগদান সম্পন্ন হয় মুমিনুল-ফারিহার। ঢাকার মিরপুরের পিএসসি কনভেনশন হলে বিয়ের অনুষ্ঠান। আজকেই জীবনসঙ্গী দীর্ঘদিনের বান্ধবী ফারিয়াকে ঘরে তুলবেন মুমিনুল।
আগামী মাসে মুমিনুলের গ্রামের বাড়ি কক্সবাজারে বৌভাতের আয়োজন করা হবে।
মুমিনুলের সঙ্গে এখন থেকে পাঁচ বছর আগে ঘটনা চক্রে পরিচয় হয় ফারিয়ার। তখন ক্লাস নাইন বা টেনে পড়তেন ফারিহা। প্রথম দেখাতেই তাকে ভালো লাগে মুমিনুলের। সেই থেকে চলছে তাদের বন্ধুত্ব। বর্তমানে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যয়ন করছেন ফারিহা। রানা আবুল বাশার ও তাসলিমা ইসলামের দ্বিতীয় মেয়ে ফারিহা থাকেন ঢাকার মিরপুর ডিওএইচএসের বাসায়।
আর কক্সবাজারে জন্ম নেয়া মুমিনুল হকের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় ২০১২ সালের মার্চে। জাতীয় দলের হয়ে ২৭ টেস্টে ৬ সেঞ্চুরি ও ১২ ফিফটিতে ৪৬.৮২ গড়ে দুই হাজার ১৫৪ রান করেছেন তিনি। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ২৬ ম্যাচে করেছেন ৫৪৩ রান।
মুমিনুলই বাংলাদেশ দলের একমাত্র ক্রিকেটার, যিনি টেস্টের দুই ইনিংসে পরপর সেঞ্চুরি করেছেন।