বিশ্বে নারী সাংবাদিকদের অনেকেই বিভিন্ন পর্যায়ে হয়রানির শিকার হয়ে থাকেন। রাশিয়া ফুটবল বিশ্বকাপে এক নারী সাংবাদিককে চুমু দেওয়া ঘটনা ঘটেছিল। ক্রিস গেইলও একবার এমন কাণ্ড ঘটিয়ে মামলা খেয়েছিলেন। এবার এমন ঘটনা ঘটলো রেসলিং জগতে।
রেসলিংয়ের লাইভ ইন্টারভিউয়ে এক নারী সাংবাদিককে চুমু দিলেন বুলগেরিয়ান হেভিওয়েট বক্সার কুবরাত পুলেভ। এমন কাণ্ড ঘটানোর পর তার বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে।
ভেগাস স্পোর্টস ডেলির নারী সাংবাদিক জেনিফার রাভালোর কাছে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন পুলেভ। সাক্ষাৎকারের শেষে ক্যামেরার ফ্রেম থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঠিক আগের মুহূর্তে বুলগেরিয়ান বক্সার চকিতেই রাভালোর ঠোঁটে চুমু দেন।
জোর করে বা অনুমতি ছাড়া লাইভে এভাবে চুমু দেওয়ায় তারকা বক্সারের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তোলা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনা সম্পর্কে জেনিফার রাভালো বলেছেন, ‘সাক্ষাৎকারের শেষ দিকে তিনি (কুবরাত পুলেভ) আমার মুখ ধরলেন এবং আমাকে চুম্বন করলেন। আমি এ ঘটনায় হতাশ ও বিব্রত হলাম এবং আমি বুঝতে পারলাম না কিভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবো।’
তিনি বলেন, ‘এরপর, টেবিলে যখন আমার জিনিসপত্র রাখতে গেলাম সে তখন আমার নিতম্বগুলো ধরতে শুরু করলো এবং হাত চুষে দিল। তারপর সে আমাকে কিছু না বললেই চলে গেল।’
নির্যাতনের শিকার ওই নারী সাংবাদিক বলেন, ‘এটা আমাকে অস্বস্তিকর ও হতাশ করে তোলে যে, কুবারত আমার সাথে এমন অস্বাভাবিক আচরণ করবে। পুলেভ আমার মুখ চেপে ধরবে, আমাকে চুম্বন করবে বা আমার পশ্চাদ্দেশ ধরবে -এসবের জন্য আমি সম্মত ছিলাম না।’
‘আমি একজন পেশাদার সদস্য হিসেবে বক্সিং ম্যাচ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলাম। সম্মতি ছাড়াই একজন মহিলাকে ঠোঁটে চুম্বন করা এবং তাকে ধরা গ্রহণযোগ্য নয়।’ -যোগ করেন তিনি।
এদিকে নিজের অফিসিয়াল টুইটার পেজে পুলেভ লেখেন, ‘আপনারা হয়তো একটি ভিডিও ক্লিপে দেখেছেন যে, শনিবার রাতে আমি বাউট জিতে সাক্ষাৎকার দেওয়ার পর এক নারী সাংবাদিককে চুমু দিয়েছি। ওই রিপোর্টার জেনি আসলে আমার একজন বন্ধু।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাক্ষাৎকার দেওয়ার পর আমি এতটাই উচ্ছ্বসিত ছিলাম যে, ওকে চুমু দিয়ে বসি। সেই রাতেই আমার অন্যান্য বন্ধুদের সঙ্গে পোস্ট ম্যাচ সেলিব্রেশনেও হাজির ছিল জেনি। ভিডিওতে দেখেছেন নিশ্চই, চুমু দেওয়ার পরে আমাদের উভয়ের মুখেই হাসি ছিল এবং একে অপরকে ধন্যবাদও জানিয়েছি। এর বাইরে অন্য কোনও উদ্দেশ্য ছিল না।’