টঙ্গির আরচ্যারী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র শহীদ আহসান উল্লাহ্ মাস্টার স্টেডিয়ামে তীর ৯ম জাতীয় আরচ্যারী চ্যাম্পিয়নশীপ শেষ হয়েছে আজ বৃহস্পতিবার। ঢাকা আর্মি আরচ্যারী ক্লাবের রোকসানা আক্তার তিনটি স্বর্ণ পদক জয় করে চ্যাম্পিয়নশীপে সেরা আরচ্যার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। রিকার্ভে দলীয় রেকর্ড গড়েছেন বিকেএসপির আরচ্যারারা।
সিটি গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় ও বাংলাদেশ আরচ্যারী ফেডারেশনের আয়োজনে সমাপনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আরচ্যারী ফেডারেশনের সভাপতি লে. জেনারেল মো. মইনুল ইসলাম (অব.) প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করেন।
রিকার্ভ পুরুষ দলীয় ইভেন্টে বিকেএসপি সর্বোচ্চ ১৯৩৭ স্কোর করে ২০১৪ সালের রেকর্ড (১৮২৪ স্কোর) ভেঙে নতুন জাতীয় রেকর্ড সৃষ্টি করে। এছাড়া কম্পাউন্ড পুরুষ এককে বাংলাদেশ আনসারের মো. মিলন মোল্লা সর্বোচ্চ ৬৮৫ স্কোর করে নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়েন।
সমাপনী দিনে মেডেল ম্যাচে রিকার্ভ পুরুষ এককে মো. রুমান সানা সুজন (বাংলাদেশ আনসার) ৭-৩ সেট পয়েন্টের ব্যবধানে শেখ সজিবকে (বিকেএসপি) পরাজিত করে স্বর্ণ, মোহাম্মদ তামিমুল ইসলাম (বিকেএসপি) ৭-১ সেট পয়েন্টের ব্যবধানে মো. ইব্রাহিম শেখ রেজোয়ানকে (তীরন্দাজ সংসদ) পরাজিত করে ব্রোঞ্জ, মহিলা এককে বিউটি রায় (তীরন্দাজ সংসদ) ৭-৩ সেট পয়েন্টের ব্যবধানে নাসরিন আক্তারকে (ঢাকা আর্মি আরচ্যারী ক্লাব) পরাজিত করে গোল্ড, মোসাম্মৎ ইতি খাতুন (তীরন্দাজ সংসদ) ৬-৪ সেট পয়েন্টের ব্যবধানে মোসাম্মৎ রাবেয়া খাতুনকে (বিকেএসপি) পরাজিত করে ব্রোঞ্জ মেডেল জয় লাভ করেন।
কম্পাউন্ড পুরুষ এককে মো. আশিকুজ্জামান (তীরন্দাজ সংসদ) ১৪৩-১৩৮ স্কোরের ব্যবধানে মো. রতন মিয়াকে (ঢাকা আর্মি আরচ্যারী ক্লাব) পরাজিত করে স্বর্ণ, অসীম কুমার দাস (তীরন্দাজ সংসদ) ১৪২-১৩২ স্কোরের ব্যবধানে সুমন কুমার দাসকে (এএসপিটিএস) পরাজিত করে ব্রোঞ্জ, রোকসানা আক্তার (ঢাকা আর্মি আরচ্যারী ক্লাব) ১৪০-১৩৯ স্কোরের ব্যবধানে সুস্মিতা বনিককে (ঢাকা আর্মি আরচ্যারী ক্লাব) পরাজিত করে গোল্ড, বিপাশা আক্তার (তীরন্দাজ সংসদ) ১০০-৯৫ স্কোরের ব্যবধানে বন্যা আক্তারকে (বাংলাদেশ আনসার) পরাজিত করে ব্রোঞ্জ মেডেল জয় লাভ করেন।
রিকার্ভ পুরুষ দলগতভাবে বিকেএসপি (মো. হাকিম আহমেদ রুবেল, শেখ সজিব ও মোহাম্মদ তামিমুল ইসলাম) ৫-১ সেট পয়েন্টের ব্যবধানে তীরন্দাজ সংসদকে (মো. ইব্রাহিম শেখ রেজোয়ান, মো. সাকিব মোল্লা ও মো. আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন) পরাজিত করে গোল্ড, বাংলাদেশ আনসার (মো. রুমান সানা সুজন, মো. ইমদাদুল হক মিলন ও শাহ আলমগীর) ৬-২ সেট পয়েন্টের ব্যবধানে ঢাকা আর্মি আরচ্যারী ক্লাবকে (মো. তোফাজ্জল হোসেন, মো. মিজানুর রহমান ও মো. আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন) পরাজিত করে ব্রোঞ্জ, মহিলা দলগতভাবে ঢাকা আর্মি আরচ্যারী ক্লাব (শ্যামলী রায়, নাসরিন আক্তার ও ইসরাত জাহান) ৫-৩ সেট পয়েন্টের ব্যবধানে বিকেএসপিকে (মোসাম্মৎ রাদিয়া আক্তার শাপল, মোসাম্মৎ রাবেয়া খাতুন ও মোসাম্মৎ হিরা মনি) পরাজিত করে গোল্ড।
বাংলাদেশ আনসার (মোসাম্মৎ নাজমিন খাতুন, মাথুই প্রু মারমা ও আফরোজা আক্তার সাথী) ৫-৩ সেট পয়েন্টের ব্যবধানে এএসপিটিএসকে (কানিজ ফাতেমা নিপা, খাদিজা ও সুরমা) পরাজিত করে ব্রোঞ্জ, মিশ্র দলগতভাবে বিকেএসপি (মোসাম্মৎ রাদিয়া আক্তার শাপল ও মোহাম্মদ তামিমুল ইসলাম) ৫-১ সেট পয়েন্টের ব্যবধানে ঢাকা আর্মি আরচ্যারী ক্লাবকে (মো. তোফাজ্জল হোসেন ও নাসরিন আক্তার) পরাজিত করে গোল্ড, তীরন্দাজ সংসদ (মো: ইব্রাহিম শেখ রেজোয়ান ও বিউটি রায়) ৪*-৪ সেট পয়েন্টের ব্যবধানে বাংলাদেশ আনসারকে (মো: রুমান সানা সুজন ও মোসাম্মৎ নাজমিন খাতুন) পরাজিত করে ব্রোঞ্জ মেডেল জয় লাভ করে। দু’জনের পয়েন্ট সমান (টাই) হওয়াতে পরবর্তীতে ১টি করে তীর ছুড়ার মাধ্যমে পদক নির্ধারিত হয়।
কম্পাউন্ড পুরুষ দলগতভাবে ঢাকা আর্মি আরচ্যারী ক্লাব (মো: রতন মিয়া, মো: জাবেদ আলম ও মামুন মিয়া) ২১৭-২১৪ স্কোরের ব্যবধানে এএসপিটিএস আরচ্যারী ক্লাবকে (সুমন কুমার দাস, মো: মিঠু রহমান ও অলিউল ইসলাম) পরাজিত করে স্বর্ণ, তীরন্দজা সংসদ (মো: আশিকুজ্জামান অনয়, অসীম কুমার দাস ও মোহাম্মদ হাসান) ২২৩-২২০ স্কোরের ব্যবধানে বিজিবিকে (মো: সামছু উদ্দিন, এহেসান আহমেদ ও মো: নাজমুল হুদা) পরাজিত করে ব্রোঞ্জ, মহিলা দলগতভাবে ঢাকা আর্মি আরচ্যারী ক্লাব (সুস্মিতা বনিক, রোকসানা আক্তার ও কানিজ ফাতেমা নিপা) ২২০-১৮৯ স্কোরের ব্যবধানে তীরন্দাজ সংসদকে (বিপাশা আক্তার, উম্মে চিং মারমা ও মোসাম্মৎ মাহমুদা আক্তার) পরাজিত করে গোল্ড, বাংলাদেশ আনসার (বন্যা আক্তার, মিস শিউলি আক্তার ও সুমা বিশ্বাস) ১৯৯-১৮৮ স্কোরের ব্যবধানে এএসপিটিএস আরচ্যারী ক্লাবকে (নাদিরা খাতুন, বন্যা মির্জা ও রাফেজা আক্তার) পরাজিত করে ব্রোঞ্জ, মিশ্র দলগতভাবে ঢাকা আর্মি আরচ্যারী ক্লাব (রোকসানা ও মো: রতন মিয়া) ১৪৬-১৩৮ স্কোরের ব্যবধানে তীরন্দাজ সংসদকে (মোসাম্মৎ মাহমুদা আক্তার ও অসীম কুমার দাস) পরাজিত করে গোল্ড, বাংলাদেশ আনসার (সুমা বিশ্বাস ও মো: মিলন মোল্লা) ১৪৫-১২১ স্কোরের ব্যবধানে এএসপিটিএসকে (সুমন কুমার দাস ও বন্যা মির্জা) পরাজিত করে ব্রোঞ্জ মেডেল জয় লাভ করে।