বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতির (বিএসপিএ) বর্ষসেরা ক্রীড়া পুরস্কারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় স্থান পেয়েছেন বিশ্ব সেরা অল রাউন্ডার সাকিব আল হাসান, শ্যুটার অর্ণব সারার লাদিফ ও ফুটবলার জাফর ইকবাল। তাদের মধ্য থেকে একজনকে বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদের পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হবে।
এছাড়া অনলাইনে দর্শকদের সরাসরি ভোটে পপুলার চয়েজ অ্যাওয়ার্ডের জন্য চার জনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছেন ক্রিকেটের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা, টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, ক্রিকেটার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও ফুটবলার জাফর ইকবাল। সর্বোচ্চ ভোটপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদ পাবেন এই পুরস্কার।
আগামী ৬ জানুয়ারি জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেয়া হবে ২০১৭ সালের বর্ষসেরা এই ক্রীড়া পুরস্কার। স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের পৃষ্ঠপোষকতায় কুল-বিএসপিএ স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ড উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন আজ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। বিএসপিএ সভাপতি মোস্তফা মামুন, সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ান উজ জামান রাজিব, জুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান তালহা বিন নজরুল ও স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের মার্কেটিং ম্যানেজার ফজল মাহমুদ রনি সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএসপিএ সভাপতি বলেন, ‘২০১৭ সালের পারফর্মেন্সের ভিত্তিতে ১৪টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেয়া হবে। এ বছর থেকে তৃণমুলের ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ক্যাটাগরিতেও একজনকে পুরস্কৃত করার ধারা চালু করা হয়েছে। প্রথমবার এই পুরস্কার পাচ্ছেন কালসিন্দুরের ফুটবল বিপ্লবের নেপথ্য কারিগর মফিজুল হক। এ ছাড়া বিভিন্ন ক্রীড়া থেকে শ্রেষ্ঠত্বের বিচারে সেরা পুরস্কারের জন্য মনোনীত ক্রীড়াবিদ, কোচ, পৃষ্ঠপোষকের নাম আজ ঘোষণা করা হয়েছে।
এতে বর্ষ সেরা ক্রিকেটার হিসেবে মনোনীত হয়েছেন বিশ্ব সেরা অল রাউন্ডার সাকিব আল হাসান, বর্ষ সেরা ফুটবলার জাফর ইকবাল, বর্ষসেরা দাবাড় -এনামুল হোসেন রাজীব, বর্ষসেরা টেবিল টেনিস খেলোয়াড় সোনম সুলতানা সোমা, বর্ষসেরা শ্যুটার অর্নব সারার লাদিফ, বর্ষসেরা সাঁতারু জোনায়না আহমেদ, বর্ষসেরা উদীয়মান অ্যাথলেট জহির রায়হান, বর্ষসেরা কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন (ক্রিকেট), বর্ষসেরা সংগঠক মাহফুজা আক্তার কিরণ (ফুটবল), বর্ষসেরা পৃষ্ঠপোষক রবি। এছাড়া বিশেষ সম্মাননার জন্য মনোনীত হয়েছেন সালাম মুর্শেদী (ফুটবল) ও বাদল রায় (ফুটবল)।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় দেশে অনেকগুলো খেলার প্রচলন থাকলেও প্রয়োজনীয় যোগ্যতা অর্জন করতে না পারায় এসব ক্রীড়ার কোন খেলোয়াড়ের নাম আমলে নেয়া হয়নি।
উল্লেখ্য, ১৯৬২ সালে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হবার দুই বছর পর অর্থাৎ ১৯৬৪ সাল থেকে সেরা ক্রীড়াবিদ ও সংশ্লিষ্টদের পুরস্কৃত করার এই ধারা চালু করেছে বিএসপিএ। অর্ধ শতাব্দিরও বেশী সময় ধরে কয়েকশত ক্রীড়াবিদ, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান দেশের সবচেয়ে প্রাচীন এই পুরস্কারের মর্যাদায় ভুষিত হয়েছে।