অর্থ আত্মসাতের মামলায় গ্রেফতার হওয়া সাবেক ফুটবলার কাউসার হামিদকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত। রোববার রাতে রাজধানীর এলিফেন্ট রোডের একটি ক্লাব থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
নিউওয়ে নামে একটি মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) কোম্পানি খুলে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছিল কায়সার হামিদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ২০১৪ সালে ভুক্তভোগীরা রাজধানীর বনানী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে সিআইডি তদন্ত করছে। ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পরে সোমবার কায়সার হামিদের পক্ষের আইনজীবী আবু সাঈদ জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অপরদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক শামসুদ্দিন এ মামলার সুষ্ঠু তদন্ত, ন্যায়বিচার ও পলাতক আসামি গ্রেফতার সহযোগিতা জন্য মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুনুর রশীদ আসামি কায়সার হামিদকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে কায়সার হামিদের পক্ষের আইনজীবী আবু সাঈদ শুনানিতে বলেন, এ মামলার বিষয়ে আসামি আগে থেকে কিছুই জানতেন না। আসামির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ নেই।
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসে নিজের অবস্থানের কথা জানিয়েছেন জাতীয় দল ও মোহামেডানের সাবেক ফুটবলার। ভিডিও বার্তায় প্রথমে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন কায়সার হামিদ। পরে আবার এমন ঘটনা কেন প্রকাশ করা হচ্ছে, এর জন্য সংবাদমাধ্যমকে দোষারোপ করেছেন কায়সার হামিদ, ‘আমি নিজেও জানতাম না এই ধরনের একটি মামলা রয়েছে। যেটা ২০১৪ সালের। আপসও করে নেওয়া হয়েছিল। তারপরও একটা মামলা ছিল। আমি একটি কোম্পানিতে কাজ করতাম। সে কোম্পানিতে কাজ করা অবস্থায় কোম্পানির নামে মামলা হয়েছিল। কিন্তু কোম্পানির কাউকে খুঁজে পায় না দেখেই আমাকে অপদস্থ করা হয়েছে। আপনারা পত্রিকায় দেখেছেন। আমার জন্য দোয়া করবেন।’
‘আসলে এটা কোনো বড় মামলা নয়। একজনে একটা মামলা দিয়েছে সাত লাখ টাকার। আরেকজন ২২। আমি কিছু বুঝলাম না এত অল্প কিছু টাকার জন্য মিডিয়াতে কেন ফলাও করে ছাপল। আমি এতে অবাক হয়ে যাই। এত হাজার কোটি টাকা মানুষ নেয়, তাদের কিছুই করা হয় না। কিন্তু সামান্য কিছু টাকা। আমি কোম্পানিতে কাজ করতাম পরামর্শক হিসেবে। কাজ করার সময় এই টাকাগুলো অপব্যবহার করে কোম্পানি। কিন্তু পুরোপুরি আমার ঘাড়ে এসে পড়ে।’