খেলায় হেরে যাওয়ায় ১৬ জন খেলোয়াড়কে মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কোচের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার জুনিয়র হকি দলের সাথে। চলতি মাসে শুরু হয় জবলপুরে আয়োজিত জাতীয় জুনিয়র হকি প্রতিযোগিতায়। সেখানে খেলার জন্য কলকাতার দল ৮ জানুয়ারি জবলপুরে যায়। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে গুজরাতকে ৪-০ ও দ্বিতীয় ম্যাচে অন্ধ্রপ্রদেশকে ৯-১ হারিয়ে প্রতিযোগিতার কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে কলকাতা। শেষ আটের লড়াইয়ে পঞ্জাবের নামধারী একাদশের বিরুদ্ধে ১-৫ হারে তারা।
দলটির কোচ পঙ্কজ আনন্দ খেলোয়াড়দের আগেই বলেছিলেন, যদি তাদের দল হেরে যায় তাহলে সকল খেলোয়াড়দের মাথা ন্যাড়া করতে হবে। কোয়ার্টার ফাইনালে কলকাতা হেরে যাওয়ার পরেই সকল খেলোয়াড়দের হোটেলে কোচের রুমে ডাকা হয়। কোচ তাদের কে এক ঘন্টা সময় দেন মাথা ন্যাড়া করার জন্য। ফলে বাধ্য হয়েই খেলোয়াড়রা ম্যাথা ন্যাড়া করেন।
শুধু তাই নয়, মাথা ন্যাড়া করার পর তাদের সকলকে এক সাথে করে ছবি তুলা হয়। পরে সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে দেওয়া হয়। এরপর থেকেই রাজ্যে শুরু হয়েছে সমালোচনা ঝড়। কেউ কেউ বলছে এটি অত্যন্ত অমানবিক কাজ।
ওই দলের নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক খেলোয়াড় বলেন, ‘‘কোচ জবলপুরে প্রথম দিন থেকেই বলতেন ম্যাচ না-জিতলে আমাদের সবার মাথা ন্যাড়া করে দিবেন। কিন্তু পরপর দুই ম্যাচ জেতায় কিছু হয়নি। কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচের আগে ফের কোচ বলেন, নামধারী একাদশের বিরুদ্ধে জিততে না-পারলে মাথা ন্যাড়া করে দিবেন।’’
কোচ পঙ্কজ আনন্দ এ বিষয়ে বলেন, ‘‘ছেলেদের উজ্জীবিত করার জন্য মাথা ন্যাড়া করার নির্দেশ দিয়েছিলাম। কিন্তু জবলপুরে তো কিছু হয়নি। দলের সব ছেলে মাথাভর্তি চুল নিয়েই তো কলকাতায় ফিরেছিল। ছেলেরা বাড়ি ফিরে মাথা ন্যাড়া করে কলকাতায়। তা হলে আমি কী করব? হারের অনুশোচনায় ছেলেরা এ-রকম করে থাকতে পারে নিজের থেকেই।’’
রাজ্যের হকি সংস্থার সচিব বলছে, ‘‘সব শুনেছি। খবরাখবর জোগাড় করছি। যদি প্রমাণ পাই, কোচ খেলোয়াড়দের এ ভাবে নির্দেশ দিয়ে মস্তক মুণ্ডন করিয়েছেন, তা হলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’