সংযুক্ত আরব আমিরে চলছে এফসি এশিয়ান কাপ। ভারত ফুটবলদলকে সমর্থন করার পাখির খাঁচায়বন্দী করার অভিযোগ উঠেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের এক নাগরিকের বিরুদ্ধে। দেশটির সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসের প্রতিবেদনে এমনই মধ্যযুগী কায়দায় নির্যাতনের খবর প্রকাশিত হয়েছে।
এফসি এশিয়ান কাপে গত বৃহস্পতিবার রাতে ভারত বনাম সংযুক্ত আরব আমিরাতের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। যদিও সেই ম্যাচে ভারত ২-০ গোলে হেরে যায়। তবে ভারতকে সমর্থন করার সেদেশের এক নাগরিক কিছু ভারতীয়কে পাখির খাঁচায় আটক করে।
লাঠি হাতে ওই ব্যক্তি একে একে বন্দীদের কাছে জানতে চাইছেন, তারা কোন দলের সমর্থক? ভারত নাকি সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর? যারা সংযুক্ত আরব আমিরশাহী বলছেন, দরজা খুলে খাঁচা থেকে তাদের বেরিয়ে যেতে দিচ্ছেন ওই ব্যক্তি। আর ভারত বললেই, খাঁচার তারে লাঠি দিয়ে জোরে আঘাত করছেন। সেই সঙ্গে হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন, তাদের দেশে থেকে ভারতকে সমর্থন মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়।
এমনই একটি ভিডিও ছঁড়িয়ে পড়লে, সেদেশে শুরু হয় আলোড়ন। শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। এই ঘটনায় অভিযুক্ত ওই ব্যাক্তিকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ।
তবে ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর ওই ব্যাক্তি আরেকটি ভিডিও টুইটারে প্রকাশ করেন। তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, খাঁচায় বন্দী লোকজন আমার অধীনে গত ২২ বছর ধরে কাজ করছেন। ম্যাচের আগে সকলে মিলে মজা করছিলেন। কাউকে কোনো ভাবেই অত্যাচার করা হয়নি।
এবিষয়ে দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেলে জানিয়েছেন, ‘‘একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে বেশ কিছু এশিয়ানকে একটি পাখির খাঁচায় বন্ধ করে রাখা হয়েছে। ওদের সংযুক্ত আরব আমিরশার হয়ে গলা ফাটাতে বলা হয়েছিল।''
তিনি আরও বলেন, ‘‘আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রিপোর্টও জমা দেওয়া হয়েছে। যে এই ভিডিওটি বানিয়েছে তাঁর নামেও গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি হয়েছে। এবং তাঁকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হচ্ছে।
دولـة الامارات العربية المتحدة
— فاطمة الحبسي (@AlhabsiFatma) January 11, 2019
النائب العام للدولة: تم اتخاذ الإجراءات القانونية ضد صاحب فيديو حبس أشخاص من الجنسية الآسيوية داخل قفص طيور ليدفعهم لتشجيع المنتخب الإماراتي وعرضه على النيابة المختصة باعتبار أن هذا المسلك جريمة معاقب عليها قانونا ولايعبر عن قيم التسامح فالإمارات pic.twitter.com/twUlfbsXaQ