সবাইকে হতবম্ভ করে অপারে চলে গেলেন বাংলাদেশের বাংলা ব্রান্ড সংগীতের কিংবদন্তি শিল্পী আইয়ুব বাচ্চু। বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হলে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা দেন। দেশ ও দেশের বাইরের কোটি ভক্তকে চোখের জলে ভাসিয়ে চলে গেলেন এ সঙ্গীত শিল্পী।
কিংবদন্তি সংগীত শিল্পীর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীসহ বিশিষ্ট্য ব্যক্তিবর্গরা। শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
দুপুরে আনুষ্ঠানিক শোকবার্তায় বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বাংলাদেশের ক্রিকেট মহলের পক্ষ থেকে মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানান।
শোক বার্তায় বিসিবি জানায়, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বাংলাদেশের রক মিউজিকের আইডল আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের রক মিউজিকের পথিকৃত ছিলেন আইয়ুব বাচ্চু। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে আমি তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানাই। সারা দেশের মত আমরাও শোকাহত।’
১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন কিংবদন্তি এ সংগীতশিল্পী। বাংলাদেশের ব্যান্ড সঙ্গীত জগতে গিটার ও গানের ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রয়েছে আইয়ুব বাচ্চুর। গানের পাশাপাশি গিটারেও ভক্তদের মাত করেছেন তিনি।
আইয়ুব বাচ্চুর গাওয়া ‘রূপালি গিটার’, ‘রাত জাগা পাখি হয়ে’, ‘মাধবী’, ‘ফেরারি মন’, ‘এখন অনেক রাত’, ‘ঘুমন্ত শহরে’, ‘বার মাস’, ‘হাসতে দেখ’, ‘উড়াল দেব আকাশে’, ‘কষ্ট পেতে ভালোবাসি,’ ‘সেই তুমি কেন অচেনা হলে’, ‘একদিন ঘুম ভাঙ্গা শহরে’, ‘মেয়ে ও মেয়ে’, ‘কবিতা সুখ ওড়াও’, ‘এক আকাশ তারা’ গানগুলো ঘুরেছে মানুষের মুখে মুখে।
Media Release.https://t.co/3UNG7kdyd4
— Bangladesh Cricket (@BCBtigers) October 18, 2018