সাকিব আল হাসানকে দেশে ফিরতে এবং ক্রিকেট খেলতে দেওয়ার দাবিতে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী লং মার্চকে কেন্দ্র করে মিরপুরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও মারধোরের ঘটনা ঘটেছে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিত শান্ত করে।
রোববার (২০ অক্টোবর) সকাল থেকেই মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরধার করা হয়। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীয় বিপুল সংখ্যক সদস্যরা স্টেডিয়াম গেটে অবস্থান নেন।
নিরাপত্তা বেষ্টনির জন্য সাকিব ভক্তরা জড়ো হতে না পারলেও দুপুর আড়াইটার দিকে স্টেডিয়ামের এক নং গেটের বিপরীত দিকে স্লোগান দিতে থাকেন। কিছুক্ষণ পর আইনশৃঙ্খরা বাহিনীর সদস্যরা এগিয়ে এসে ব্যারিকেড দিলে রাস্তায় বসে পড়েন বিক্ষোভকারীরা।
বসে পড়েই গণমাধ্যমের সাথে কথা বলার এক পর্যায়ে সাকিব বিরোধীরা আসায় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় সাকিব ভক্তদের মধ্যে কয়েকজন মারধরের শিকার হয়। পড়ে আইনশৃঙ্ক্ষলা বাহিনীর সদস্যরা দুই পক্ষকেই সরিয়ে দেন।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগের ব্যানারে এমপি হওয়া সাকিব আল হাসানের নিশ্চুপ থাকা তার বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেছে আমজনতা। এছাড়া আন্দোলনের সময় নিহত হওয়ার ঘটনায় সাকিবের নামে হত্যা মামলা হওয়ার দেশে ফেরা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়।
দেশের এ পরিস্থিতিতে মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে খেলে লাল বলের ক্রিকেট থেকে বিদায় নিতে চেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। মিরপুরে বিদায়ী টেস্ট খেলার বিষয়ে সাকিব সরকার এবং বিসিবির পক্ষ থেকে সবুজ সংকেত পেলেও বিরোধীদের আন্দোলনে পিছু হটানোর ঘটনা ঘটে।
টেস্ট খেলতে দেশে আসতে চাইলেও নিরাপত্তা ইস্যুতে সরকার থেকে আবার মানা করা হয়। যার জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে দুবাই এসেও আটকে যান সাকিব। একই সাথে মিরপুরে টেস্ট থেকে সাকিবের নাম বাদ দেওয়া হয়।