দেশের মাটিতে টেস্ট খেলে অবসরে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন সাকিব আল হাসান। সেক্ষেত্রে নিরাপত্তা বিষয়ে নিশ্চয়তা চেয়েছেন দেশ সেরা অলরাউন্ডার। তবে অন্তবর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বললেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানের নিরাপত্তা দেওয়ার নিশ্চয়তা চাওয়া অবান্তর।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জাবাবে উপদেষ্টা এ কথা বলেন। মন্ত্রণালয়ে স্পোর্টস মিডিয়া বাংলাদেশ নামে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে এ তথ্য জানানো হয়।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার সরকারের পতন হয়েছে। পতন হওয়া হাসিনা সরকারের একজন সংসদ সদস্য ছিলেন সাকিব আল হাসান। আন্দোলনে ছাত্র ও সাধারণ মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় সাকিব আল হাসানের নামে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
হত্যা মামলা মাথায় নিয়েই ভারতে টেস্ট সিরিজ খেলছেন সাকিব। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের আগে কানপুরে সংবাদ সম্মেলনে সাকিব আল হাসান দেশের মাটিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুরে টেস্টে অবসর নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তবে শর্ত হিসেবে বলা হয়েছে, তাকে সার্বিক নিরাপত্তা এবং প্রয়োজনে নিরাপদে দেশত্যাগ করতে দেওয়ার নিশ্চয়তা দিতে হবে।
বিষয়টি নিয়ে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের কাছেও জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়টি বিসিবি দেখলেও সাকিব আল হাসানের যে পরিস্থিতি তাতে তার নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়টি বিসিবি কাছে নেই। এটা সরকারের পক্ষ থেকেই আসতে হবে।
সেই একই বিষয়ে আজ শ্রম্ ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার কাছে জানতে চান সাংবাদিকরা। প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা স্টষ্টই জানিয়ে দিলেন সাকিব আল হাসানের নিরাপত্তা চাওয়ার বিষয়টি অবান্তর।
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, “খেলোয়াড় সাকিবের যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আছে। তবে, ফ্যাসিস্ট সরকারের সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানের বিপক্ষে জনমনে তৈরি হওয়া ক্রোধের বিপরীতে নিরাপত্তা দেওয়ার নিশ্চয়তা চাওয়া অবান্তর।”
তিনি বলেন, সাকিব আল হাসানের পরিচয় দুটা। একটা ক্রিকেটার আরেকটা রাজনৈতিক। মামলার বিষয়ে ইতিমধ্যে বলা হয়েছে প্রাথমিক তদন্তে সংশ্লিষ্টতা না পাওয়া গেলে নাম বাদ দেওয়া হবে।
নিরাপত্তা নিয়ে আসিফ মাহমুদ বলেন, “আমার সাথেও পাঁচজন নিরাপত্তা দেওয়ার লোক থাকেন। তবে দেশের মানুষ যদি আমার উপর ক্ষিপ্ত থাকে তাহলে তারাও নিরাপত্তা দিতে পারবে না।”