‘নারীর ঘুষি এত জোরে হতে পারে না’ লিঙ্গ পরীক্ষার দাবি

স্পোর্টসমেইল২৪ স্পোর্টসমেইল২৪ প্রকাশিত: ১০:০৬ পিএম, ০২ আগস্ট ২০২৪
‘নারীর ঘুষি এত জোরে হতে পারে না’ লিঙ্গ পরীক্ষার দাবি

প্যারিস অলিম্পিকে নারীদের ৬৬ কেজির ইভেন্টে নর্থ প্যারিস অ্যারেনায় শেষ ষোলোর ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিলেন ইতালির আঞ্জেলা কারিনি ও আলজেরিয়ার ইমানে খেলিফ। তবে ম্যাচটি ৪৬ সেকেন্ডেই শেষ হয়ে যায়! খেলিফের বেশ কয়েকটি পাঞ্চের আঘাত সইতে না পেরে ৪৬ সেকেন্ডে নিজ থেকেই ম্যাচ ছেড়ে দেন কারিনি।

বৃহস্পতিবার (১ আগষ্ট) ম্যাচ শেষে কান্নাভেজা কণ্ঠে কারিনি অভিযোগ করে বলেছেন, “কোন নারীর ঘুষি এতো জোরে হতে পারে না। তাই খেলিফের ‘লিঙ্গ পরীক্ষার’ বিষয়টি আবারও খতিয়ে দেখা উচিত।”

খেলা ছেড়ে দেওয়া নিয়ে তিনি বলেন, “আমি লড়াই করার জন্যই রিংয়ে এসেছিলাম। আমি হাল ছাড়িনি। তবে তার ঘুষিগুলো আমাকে প্রচন্ড আঘাত করেছে। আমি বলেছি, যথেষ্ট হয়েছে। তার সাথে খেলা কঠিন।”

তিনি আরও বলেন, “আজও আমি মাথা উঁচু করে এই লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছি। আমার বাবা আমাকে একজন যোদ্ধা হতে শিখিয়েছেন। আমি সবসময় সম্মানের সাথে রিংয়ে পা রেখেছি। সবসময় আনুগত্যের সাথে দেশের (সেবা) করেছি । কিন্তু এবার পারলাম না।”

এদিকে, পুরো ম্যাচ না খেলেই জিততে পেরে খুশি খেলিফ। জয়ের পর তিনি বলেন, “এমন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতা জিততে পারাটা সব সময়ই আনন্দের। তবে আমার মূল লক্ষ্য, পদক জয়।”

গত বছর ভারতের দিল্লিতে আন্তর্জাতিক বক্সিং অ্যাসোসিয়েশন (আইবিএ) আয়োজিত বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সোনার পদকের ম্যাচ থেকে খেলিফকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। কারণ, লিঙ্গ পরীক্ষায় খেলিফের শরীরে এক্সওয়াই ক্রোমোজম পাওয়া গেছে। তারপরও খেলিফকে প্যারিস অলিম্পিকসে খেলার অনুমতি দিয়েছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি)।

এ বিষয়ে আইওসি মুখপাত্র মার্ক অ্যাডামস বলেছেন, “নারী বিভাগের যোগ্যতার নিয়ম মেনেই সকল প্রতিযোগী এ টুর্নামেন্টে এসেছে। পাসপোর্ট অনুযায়ী তারা নারী ও সেখানে তাদের নারী হিসেবেই বর্ণনা করা হয়েছে।”

আইওসির মুখপাত্রর বক্তব্যের সাথে দ্বিমত পোষণ করেছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি। তিনি বলেছেন, “আমার মতে যেসব অ্যাথলেটের মধ্যে পুরুষদের জিনগত বৈশিষ্ট্য আছে, তাদের নারী বিভাগের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়া উচিত নয়।”

ঘটনাটি নিয়ে ফুঁসে উঠেছেন হ্যারি পটারের বইয়ের লেখিকা জেকে রাউলিং। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তিনি লিখেছেন, “কারিনির সাথে নির্মম অবিচারের জন্য চিরকালের মতো কলঙ্কিত হলো প্যারিস অলিম্পিক। একজন নারীকে মেরে একজন পুরুষ হাসছেন। বিনোদনের জন্য এমন ছবি মোটেও ভালো নয়।”



শেয়ার করুন :