পরিবেশগত লাইসেন্স ছাড়াই নিজের প্রাসাদের জন্য একটি হ্রদ নির্মাণ করায় ৩.৩ মিলিয়ন ডলার জরিমানার কবলে পড়েছিলেন ব্রাজিল তারকা নেইমার। তবে বিপুল পরিমাণ জরিমানা নেইরমাকে দিতে হচ্ছে না। দেশেটির আলাদত বলছে, নেইমারের সেই প্রকল্পটির জন্য আসলে বিশেষ পরিবেশগত অনুমতির প্রয়োজন নেই।
নেইমারকে জরিমানা থেকে মুক্ত করে এ আদেশ জারি করেন বিচারক আদ্রিয়ানা রামোস দে মেলো। আদ্রিয়ানা জানান, প্রকল্পটির জন্য বিশেষভাবে পরিবেশ বিষয়ক লাইসেন্সের প্রয়োজন নেই। ফলে নেইমারকে এ জরিমানা দিতে হবে না।
ব্রাজিলের শহর রিও ডি জেনেরিও থেকে ১৩০ কিলোমিটার দূরে পর্যটন এলাকা মানগারাতিবায় বিলাসবহুল প্রাসাদটি বানিয়েছেন নেইমার। সেখানে কৃত্রিম লেক ও সৈকত তৈরি করছেন তিনি। তবে তা পরিবেশ আইনের পরিপন্থী বলে জানায় মানগারাতিবা শহর পরিষদ সচিবালয়। কেননা লেকটি স্বচ্ছ পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করবে।
নেইমারের বিলাসবহুল প্রাসাদের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছে সরকার
মানগারাতিবা শহর পরিষদ সচিবালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, ‘নেইমার অনুমোদন ছাড়া নদীর পানি দখলে নিয়েছেন, যা পানির গতিপথ পাল্টে দিয়েছে। (এসব করার জন্য নেইমার) জমি অপসারণ ও গাছপালা কেটে ফেলেছেন। ’
গত ২২ জুন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশকিছু অভিযোগের ভিত্তিতে নেইমার বিলাসবহুল সম্পত্তিতে বেশ কয়েকটি পরিবেশগত লঙ্ঘন খুঁজে পেয়েছে কর্তৃপক্ষ। যেখানে শ্রমিকরা কৃত্রিম লেক ও সৈকত তৈরি করছিলেন।
কর্তৃপক্ষ বাড়ির সমস্ত নির্মাণকাজ বন্ধের নির্দেশ করে। তবে ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যম জানায়, নিয়মের থোড়াই কেয়ার করে নেইমার সেখানে পার্টিতে মজেছিলেন ও লেকে গোসলও করেন।
বিলাসবহুল বাড়িটি ২০১৬ সালে কিনে নেন নেইমার। ব্রাজিলিয়ান গণমাধ্যমের মতে, ১০ হাজার বর্গমিটার আয়তনের সেই জমিতে হেলিপোর্ট, স্পা ও জিমও রয়েছে।