দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দ্বিতীয় বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটে ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ খ্যাত সাবেক সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। নড়াইল-২ (লোহাগড়া উপজেলা ও সদরের একাংশ) আসন থেকে ১ লাখ ৮৯ হাজার ১০২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। একই আসনে ক্ষমতসী দল আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্যও তিনি।
নির্বাচনে মাশরাফির নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির শেখ হাফিজুর রহমান হাতুড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৪ হাজার ৪১ ভোট। অর্থাৎ, ১ লাখ ৮৫ হাজার ৬১ ভোট বেশি পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মাশরাফি।
মাশরাফির আসনে মোট আটজন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন। তারা হলেন- স্বতন্ত্র প্রার্থী হন সৈয়দ ফয়জুল আমির (ট্রাক) ও মো. নূর ইসলাম (ঈগল), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির শেখ হাফিজুর রহমান (হাতুড়ি), জাতীয় পার্টির খন্দকার ফায়েকুজ্জামান (লাঙ্গল), ইসলামী ঐক্যজোটের (আইওজে) মো. মাহবুবুর রহমান (মিনার), এনপিপির মো. মনিরুল ইসলাম (আম) ও গণফ্রন্টের মো. লতিফুর রহমান (মাছ)। তবে তারা কেউ ভোট প্রাপ্তির দিক দিয়ে মাশরাফির ধারেকাছেও ছিলেন না।
এদিকে, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী শেখ হাফিজুর রহমান ফল প্রত্যাখ্যান করে পুনর্নির্বাচনের দাবি করেছেন। ফল পত্যাখ্যান করে তিনি বলেন, “নির্বাচনে কতিপয় কেন্দ্রে জোর করে আমার এজেন্ট বের করে দিয়ে ব্যালটে সিল মেরে বাক্স ভর্তি করা হয়েছে।”
তবে শেখ হাফিজুর রহমানের এমন দাবিকে মিথ্যে বলে জানিয়েছেন মাশরাফির ঘনিষ্ঠ সমর্থক লোহাগড়া পৌরসভার মেয়র ও লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মশিয়ূর রহমান।
এছাড়া প্রথমবারের চেয়ে দ্বিতীয় নির্বাচনে ভোটের সংখ্যার দিক দিয়ে কম পেয়েছেন মাশরাফি। একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে ২ লাখ ৭১ হাজার ২১০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। সেখানে এবার মাশরাফির পক্ষে ভোট পড়েছে ১ লাখ ৮৯ হাজার ১০২টি।