দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে প্রথম নির্বাচনেই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। নিজের জন্মস্থান মাগুরা-১ (শ্রীপুর ও সদরের একাংশ) আসনের আওয়ামী লীগের প্রতীয় নৌকা নিয়ে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৩৮৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
রিটার্নিং কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সাকিবের এ আসনে (মাগুরা-১) রোববার মোট ১৫২ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে ৪ লাখ ৪৮৫ জন ভোটারের মধ্যে প্রায় ৪৮.৩৮ শতাংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
সূত্রে আরও জানা যায়, সাকিব আল হাসানের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ কংগ্রেসের কাজী রেজাউল হোসেন ডাব প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৯৪ ভোট। অর্থাৎ, ১ লাখ ৭৯ হাজার ৩৯৪ ভোট বেশি পেয়ে প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদের প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন সাকিব।
একই আসনে আরও তিন প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। তাদের মধ্যে জাতীয় পার্টির মো. সিরাজুস সায়েফিন (লাঙ্গল প্রতীক) পেয়েছেন ২ হাজার ১৪৩ ভোট, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) এম মোতাসিম বিল্লা (টেলিভিশন প্রতীক) পেয়েছেন ৬৫৪ ভোট এবং তৃণমূল বিএনপির সনজয় কুমার রায় (সোনালী আঁশ) পেয়েছেন ৮৬৮ ভোট। তারা কেউ সাকিবের ধারেকাছে ছিলেন না।
এর আগে রোববার (৭ জানুয়ারি) নিজ কেন্দ্র দরিমাগুরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সকাল ৮টায় ভোট দেন সাকিব আল হাসান। এ সময় সঙ্গে তার বাবা মাশরুর রেজা ও তার ছোট বোন বৃষ্টি উপস্থিত ছিলেন।
ভোট প্রদান শেষে জয়ের ব্যপারে শতভাগ আশাবাদী ছিলেন সাকিব। উপস্থিত সাংবাদিকদের সাকিব বলেন, “নাগরিকরা তাদের মূল্যবান ভোটটি দিয়ে তাদের নাগরিক অধিকার পুরণ করবে। ভোটাররা সচেতনতার সাথে ভোট প্রদান করে আগামী ৫ বছরের জন্য তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন। সে ক্ষেত্রে আমি মনে করি, তারা আমাকে বেছে নেবেন। ”
এদিকে, সাকিব আল হাসান জাতীয় সংসদের নির্বাচিত এমপি হলেও মাঠের খেলা চালিয়ে যাবেন। সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসের ১৯ তারিখ থেকে শুরু হতে যাওয়া বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) দিয়ে মাঠের খেলার ফিরবেন সাকিব।