বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের (বিএসজেএ) সদস্যদের নিয়ে আয়োজিত হচ্ছে ‘ওয়ালটন-বিএসজেএ স্পোর্টস কার্নিভাল ২০২৩।’ সোমবার (২৪ জুলাই) আরচ্যারি ও শ্যুাটিং ডিসিপ্লিন দিয়ে ওয়ালটন-বিএসজেএ স্পোর্টস কার্নিভালের উদ্বোধন হবে।
আরচ্যারি ও শ্যুাটিং ছাড়াও ব্যাডমিন্টন, টেবিল টেনিস, ক্যারম, দাবা, সাঁতার, কলব্রিজ- এই আটটি ডিসিপ্লিন নিয়ে হবে এবারের স্পোর্টস কার্নিভাল। টেবিল টেনিস ও ক্যারমে একক ইভেন্টের পাশাপাশি থাকছে দ্বৈত ইভেন্টও।
প্রতি ইভেন্টের চ্যাম্পিয়ন, রানার্সআপ ও তৃতীয় স্থান অধিকারীর জন্য রয়েছে আকর্ষণীয় ট্রফি ও অর্থ পুরস্কার। এছাড়া সকল ইভেন্টের স্কোরের ভিত্তিতে সেরা খেলোয়াড়কে ‘দ্য বেস্ট’ ট্রফি পুরস্কার দেওয়া হবে।
ওয়ালটন-বিএসজেএ ইনডোর স্পোর্টস কার্নিভালের আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন শনিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন গ্রুপের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী পরিচালক এফ এম ইকবাল বিন আনোয়ার ডন, বিএসজেএ সভাপতি এটিএম সাইদুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান পল্টু, টুর্নামেন্ট কমিটির আহ্বায়ক রায়হান আল মুঘনি, সদস্য সচিব রবিউল ইসলামসহ ক্রীড়া সাংবাদিকরা।
ওয়ালটনের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী পরিচালক এফ. এম ইকবাল বিন আনোয়ার বলেন, ‘বিএসজেএ-র সঙ্গে ওয়ালটনের পথ চলা অনেক পুরোনো। আমরা অত্যন্ত গর্বিত বিএসজেএ-র এই আয়োজনে ওয়ালটন আবারও সম্পৃক্ত হতে পেরেছে। বিএসজেএ’র এই আয়োজন সফল হোক। ক্রীড়া সাংবাদিকরা খেলাধুলায় মেতে উঠুক, ওয়ালটন পরিবার সেই প্রত্যাশা করছে।’
পৃষ্ঠপোষক ওয়ালটনকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভাপতি সাইদুজ্জামান বলেছেন, ‘যারা খেলাধুলা নিয়ে কাজ করে তারাই এবার খেলতে নামছেন। আমি আমাদের সদস্যদের ধন্যবাদ দিতে চাই। বেশ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তারা খেলতে আসছেন।’
সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান বলেন, ‘বিএসজেএ প্রতি বছর নিজেদের সদস্যদের জন্য এই কার্নিভাল আয়োজন করে। ওয়ালটন এর আগেও আমাদের সঙ্গে ছিল। আশা করছি ভবিষ্যতেও থাকবে।’
সপ্তাহব্যাপী এ কার্নিভালের আয়োজন করা হয়েছে। আরচ্যারি ও শ্যুাটিং অনুষ্ঠিত হবে হকি স্টেডিয়ামে এবং একই দিনে কলব্রীজ অনুষ্ঠিত হবে বিএসজেএ’র নিজস্ব কার্যালয়ে।
টেবিল টেনিস ও ব্যাডমিন্টন ডিসিপ্লিন অনুষ্ঠিত হবে শহীদ তাজ উদ্দিন ইনডোর স্টেডিয়ামে এবং সাঁতার অনুষ্ঠিত হবে আইভি রহমান সুইমিংপুলে। ক্যারম, দাবা ও কলব্রীজ অনুষ্ঠিত হবে বিএসজেএ’র নিজস্ব কার্যালয়ে।