ক্রিকেটার ইমরান খান এখন রাজনীতিবিদ। দীর্ঘ ২২ বছরের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে এবার সাফল্যে চূড়ায়। হলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক এ অধিনায়ক এখন পরমাণু শক্তিধর দেশটির প্রধান নেতা। ইমরানের এমন সাফল্যে উচ্ছ্বসিত ক্রিকেট বিশ্ব।সাবেক ক্রিকেটার থেকে জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার -সবাই শুভকামনা জানাচ্ছেন ১৯৯২ সালে বিশ্বকাপজয়ী এ অধিনায়ককে।
‘সুলতান অব সুইং’-খ্যাত পাকিস্তানের সাবেক পেসার ওয়াসিম আকরাম আশা করছেন, ‘আমার বিশ্বাস, দেশের আগামী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পাকিস্তানকে তিনি অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারবেন। ইমরানের আছে অচল কর্মশক্তি, ক্ষমতা এবং মেধা; যা দেশের এবং দেশের মানুষের উন্নতিতে কাজে লাগবে।’
জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার ও সাবেক ক্রিকেটার রমিজ রাজা বলেছেন, ‘নেতা হিসেবে ইমরান খানের চেয়ে বড় এবং ভালো উদাহরণ আর কে হতে পারে! তিনি এমন একজন সুপারস্টার যার পায়ের তলায় ছিল বিশ্ব। ২২ বছর ধরে একটি ভিশন নিয়ে এগিয়ে চলেছেন, তিনি স্পেশাল। তার মতো একজনকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পেয়ে আমরা গর্বিত।’
পাকিস্তানের সাবেক তারকা অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি বলেছেন, ‘আমি আশা করি, আপনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারবেন। প্রতিপক্ষ দলগুলোর প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে, তারা যেন ফল মেনে নেন এবং পাকিস্তানকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে সহায়তা করেন।’
সাবেক তারকা পেসার শোয়েব আখতার বলেছেন, ‘অভিনন্দন ইমরান খান। আপনি এটা পেরেছেন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আপনিই সেরা পছন্দ।’
শুধু পাকিস্তানেই নয়। পাকিস্তানের বাইরে থেকেও অভিনন্দন বার্তা পাচ্ছেন ইমরান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক ক্রিকেটার এবং ধারাভাষ্যকার ইয়ান বিশপ বলেছেন, ‘পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী ইমরানকে আমার হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে অভিনন্দন। দুর্দান্ত সাবেক একজন খেলোয়াড় একটি দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ে এসেছেন, জানতে পেরে গর্ববোধ হচ্ছে। আপনি যেন সততার সঙ্গে নেতৃত্ব দিতে পারেন এবং দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন, সেই কামনা করছি।’
ভারতের জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে বলেছেন, ‘শেষপর্যন্ত ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী হলেন। ক্রিকেটার হিসেবে তাকে দারুণ শ্রদ্ধা করি এবং ক্রিকেট অধিনায়ক হিসেবেও। তিনি একটি জাতিকে কিভাবে নেতৃত্ব দেন, সেটা দেখার জন্য মুখিয়ে আছি।’
১৯৯৬ সালে রাজনীতিতে যোগ দেন ইমরান খান। গঠন করেন তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি। গত নির্বাচনে দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও এবার অন্যদের পেছনে ফেলে ওঠে এসেছেন শীর্ষে।