ফাইনাল খেলার আগেই সতর্ক দিয়েছিল ফ্রান্স সরকার। সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা মোতায়েন করা হয়েছিল লক্ষাধীক পুলিশ। তবুও শেষ রক্ষা হলো না। সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা না ঘটলেও বিশ্বকাপ জয়ে উৎসব করতে গিয়ে ছাড়িয়ে গেছে মাত্রা। বিশ্বকাপ উৎসবে প্রাণ হারিয়েছে দুইজন। এছাড়া পুলিশের হাতে আটক হয়েছে প্রায় শতাধিক ব্যাক্তি।
২০ বছরে তিনটি বিশ্বকাপের ফাইনাল। দুটিতে জয়। মাঝে আছে একটি ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপাও। বিশেষ করে আগের দিনে বিশ্বকাপ জয়ের উদযাপন যনে শেষ হচ্ছে না ফ্রান্সের। বিশ্বকাপে জয় উদযাপন করতে গিয়ে মাত্রা ছাড়িয়ে গেছেন অনেকেই।
ফরাসী গণমাধ্যম লা পেরিজিয়ানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বকাপ উদযাপন করতে গিয়ে দুইজন মারা গেছেন। এর মধ্যে একজন অ্যানেসির কাছে একটি অগভীর খালে ঝাঁপ দিয়ে, অপরজন সড়ক দুর্ঘটনায়। গাড়ি চালাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে লাগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
বলা হয়, শহরের প্রাণকেন্দ্রে মাথায় আঘাত পেয়ে এক ব্যক্তি গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে টিয়ার গ্যাস, দাঙ্গা অস্ত্র ব্যবহার করেছে পুলিশ। এছাড়া প্যারিসের প্রসিদ্ধ জায়গাগুলোতে জানালা ভেঙে দোকান লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে। বাধ্য হয়েই তাদের অনেককে আটক করেছে দেশটির পুলিশ।
ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনালে রোবাবর রাতে ক্রোয়েশিয়াকে ৪-২ গোলে হারিয়েছে ফ্রান্স। এমবাপে দলের হয়ে তৃতীয় গোল করার পর পরই উৎসবে মেতে ওঠে ফরাসীরা। পরিণত হয় উগ্রতায়। নিয়ন্ত্রণে ১১ লাখ পুলিশ নিয়জিত করে সরকার।
অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্যারিস পুলিমের প্রধান মাইকেল দেলপুয়েচ বলেছেন, ‘উদযাপনের মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে তা নিয়ন্ত্রণ করতে এখন পর্যন্ত ১০২ জনকে আটক করতে হয়েছে।’
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, বিশ্বকাপ উদযাপনে ২৯২ জন মানুষ অনৈতিক কাজে জড়িত ছিলেন। তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে ৪৫ জন পুলিশও আহত হয়েছে। উগ্রতা শুধু প্যারিসেই নয়, পুরো ফ্রান্সেই ছড়িয়ে পড়েছে।