আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসির প্রতি প্রেমে মত্ত পুরো ফুটবল দুনিয়া। আর এদের জন্যই মেসি হয়ে উঠেন সেরাদের সেরা। ফুটবল মাঠে খেলা চলাকালীন কেউ প্রবেশ করতে পারে না কিন্তু মেসিপাগল ফুটবল ফ্যানদের রুখবে কে! এক সেকেন্ডের জন্য এই প্রিয় মানুষটাকে ছুঁয়ে দেখার স্বপ্নকে তো আর ফেলে রাখা যায় না। তাই অসংখ্য মেসি ভক্তরা শাস্তি হবে জেনেও দৌড়ে ছুটে যান গ্রহের সেরা খেলোয়াড়ের নিকট।
ফুটবলের রাজকুমার লিও মেসির মতো প্রিয় তারকার জন্য ভক্তরা কতকিছুই না করে। এবার বিশ্ব ফুটবলের মহাতারকা লিওনেল মেসির এক নারী ভক্ত গাড়ি চালিয়ে কাতার যাচ্ছেন।
ভারতের কেরালার বাসিন্দা নাজি নৌসি। মেসির ‘ডাইহার্ড ফ্যান’ বলতে যা বোঝায়, তিনি তাই। পাঁচ সন্তানের এই জননীর ছোটবেলা থেকেই শখ মেসিকে একবার দেখার। অনেক বছর পর বিশ্বকাপ এশিয়াতে ফিরতেই আর দেরি করলেন না ভারতীয় নাগরিক নাজি নৌসি। নিজেই গাড়ি চালিয়ে শখ পূরণে কাতারের পথে যাত্রা করেছেন তিনি।
সম্প্রতি নিজের দেশে গাড়ি চালিয়ে বেশ কিছু দুঃসাহসিক অভিযানে গেছেন নাজি নৌসি। তার রেশ ধরেই এবার তার মনে হয়েছে, মেসিকে সরাসরি দেখা যেতে পারে।
পাঁচ সন্তানকে মায়ের কাছে রেখে যাচ্ছেন। স্বামী নওশাদ সবসময় উৎসাহ দেন। এবারও দিচ্ছেন। আর রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী নিজে এসে তার গাড়ির যাত্রা করেছেন। নিজের গ্রাম থেকে গাড়ি চালিয়ে কোয়েম্বাটোর হয়ে মুম্বাইয়ে যাবেন নৌসি। সেখান থেকে তিনি জাহাজে চড়ে পৌঁছাবেন ওমানে। তারপর নিজের গাড়ি নিয়ে বিভিন্ন দেশ ঘুরে যাবেন কাতারে।
আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্স পেয়েছেন তিনি। পথে সব জায়গায় হোটেল পাওয়া যাবে না। সেক্ষেত্রে টোলপ্লাজা এবং পেট্রল পাম্পে থাকবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
নাজি নৌসি বলেন, ছোটবেলা থেকে আমি অ্যাডভেঞ্চারের ভক্ত। তবে তখন সুযোগ ছিল না। এখন পরিবারের সমর্থনে এই দুঃসাহসিক কাজ করতে পারছি।
বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পরই অবশ্য কাতার থেকে ফিরবেন না নাজি নৌসি। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কাতারে থাকবেন তিনি।
নাজি নৌসি স্বপ্ন দেখেন, একদিন ভারত ফুটবল বিশ্বকাপ খেলবে। তিনি বলেছেন, ‘আমি স্বপ্ন দেখি যে ভারতও একদিন ফুটবল বিশ্বকাপে খেলবে। আমি সেজন্য ভারতে তৈরি গাড়ি চালিয়েই কাতার যাব। আশা করছি আমার স্বপ্ন একদিন সত্যি হবে।’
দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়াশোনা শেষ করার পরে বিয়ে হয় নাজি নৌসির । ১৯ বছর বয়সে প্রথম সন্তানের জন্ম। তার সব থেকে ছোট ছেলের বয়স ২ বছর। সংসারের কাজ সামলেও নিজের স্বপ্ন পূরণ করেছেন তিনি। সেই কাজে তার পরিবার তাকে সব থেকে বেশি সাহস জুগিয়েছে। এর আগে গাড়ি চালিয়ে কেরল থেকে লাদাখে গিয়েছিলেন তিনি।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরআইএম