বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমসে টেবিল টেনিসের দ্বৈত ইভেন্টে খেলার কথা ছিল সোনাম সুলাতানা ও সাদিয়া রহমানের। ইংলিশ জুটি মারিয়া সাপসিনস ও হো টিন টিন জুটির বিপক্ষে মাঠে নামার কথা ছিল। ওই ম্যাচের আগের দিন পাওয়া চোটের অজুহাত দেখিয়ে মাঠে নামেননি তারা। ফলে ‘ওয়াকওভার’ পায় ইংল্যান্ড। চোটের অজুহাত দেখিয়ে তারা লন্ডনে ঘুরতে গিয়েছিল।
চোটের অজুহাত দেখিয়ে ঘুরতে যাওয়ায় সোনাম সুলতানা ও সাদিয়া রহমানকে ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা থেকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ টেবিল টেনিস ফেডারেশন। ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় দুই বছর ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তিন বছর মাঠের বাইরে থাকবেন তিনি।
শনিবার (২৭ আগস্ট) বাংলাদেশ টেবিল টেনিস ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই এই দুই টেবিল টেনিস খেলোয়াড়কে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “৫ আগস্ট দ্বৈত ইভেন্টে আমাদের খেলা ছিল। ওইদিন তারা দুইজনই গেমস ভিলেজের বাইরে ছিলেন। যে কারণে ম্যাচটি ওয়াকওভার দিতে হয়। এতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের সম্মানহানি হয়েছে। তাই কার্যনির্বাহী কমিটির সবার সম্মতিক্রমে তাদেরকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত হলেও এখনই নিষিদ্ধ হচ্ছেন না এই দুই খেলোয়াড়। বৈঠকের পর তাদেরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে হবে। সেখানে সঠিক কারণ দর্শাতে না পারলে নিষিদ্ধ হবেন এই দুই টেবিল টেনিস খেলোয়াড়।
শৃঙ্খলার ব্যাপারে কোনো ধরনের দেওয়া হবে না বলেও জানিয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, “খেলাধুলায় সবার ওপরে শৃঙ্খলা। এর আগে ক্যাম্প না করার কারণে অনেক তারকা খেলোয়াড় বাদ পড়েছে। কমনওয়েলথ গেমসে যেটা ঘটেছে, সেটা বড় অপরাধ। এরপরও তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ৭২ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে।”
তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন নিষিদ্ধ হতে যাওয়া সোনাম। তিনি বলেন, “আমরা গেমস ভিলেজেই ছিলাম। অন্য কোথাও বেড়াতে যাইনি। ভিলেজে থাকার সব প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। তারপরও কেন ফেডারেশন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জানি না। তা ছাড়া এমন সিদ্ধান্তের ব্যাপারে কোনো চিঠিও পাইনি। তবে চিঠি পেলে সেটার জবাবও দিতে প্রস্তুত আছি।”
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর