তুরস্কে অনুষ্টিত ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে দুর্দান্ত পারফর্ম করে ১০০ মিটারের ফাইনালে উঠেছিলেন বাংলাদেশের ইমরানুর রহমান। ফাইনালে ওঠায় স্বাভাবিকভাবে উঁকি দিচ্ছিল পদকের! তবে তা হয়নি, শেষ পর্যন্ত ষষ্ট হয়েছেন বাংলাদেশের এই দ্রুততম মানব।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) তুরস্কের কনিয়াতে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে নেমেছিলেন ইমরানুর। প্রথম ধাপের চতুর্থ হিটে ব্যক্তিগত সেরা টাইমিং (১০ দশমিক ০১ সেকেন্ড) করে সেমি ফাইনালে ওঠেন তিনি। এর আগে ইমরানুরের সেরা টাইমিং ছিল ১০ দশমিক ২২ সেকেন্ড।
ফাইনালে ওঠার লড়াইয়েও দুর্দান্ত করেন ২৯ বছর বয়সী এই বাংলাদশী অ্যাথলেট। সেমিফাইনালে তার টাইমিং ছিল ১০ দশমিক ০৬ সেকেন্ড।
টানা দুই রাউন্ডে এরকম দুর্দান্ত পারফর্ম করে ফাইনালে ওঠায় স্বাভাবিকভাবে প্রত্যাশাও বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু ফাইনালের মঞ্চে আর পেরে ওঠেননি ইমরানুর!
বিতর্কিত চুক্তি নিয়ে যুক্তি দিয়েছেন সাকিব, মানছে না বিসিবি
ফাইনালে তিনি সময় নিয়েছেন ১০ দশমিক ১৭ সেকেন্ড। যেখানে ৯ দশমিক ৮৯ সেকেন্ড সময় নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন আইভরি কোস্টের আর্থার সিসে।
এর আগে ফাইনালে উঠতে কিছুটা ভাগ্যের সহায়তা পেয়েছিলেন ইমরানুর। সেমিফাইনালে একবার দৌড় শেষ করলেও কয়েকজন ফলস স্টার্ট করায় আয়োজকেরা আবারও দৌড় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ওই দৌড়ে ইমরানুরের টাইমিং ছিল ১০.২২ সেকেন্ড।
ফলে যদি কেউ ফলস স্টার্ট না করতো আর পুনরায় দৌড় না হতো তাহলে ফাইনালেই ওঠা হতো না এই বাংলাদেশী অ্যাথলেটের। শেষ পর্যন্ত আবারও সুযোগ পেয়ে টাইমিং কমিয়ে দৌড়ে পৌঁছে যান ফাইনালে।
পদক না জিতলেও ইমরানের ধারাবাহিকভাবে উন্নতি চোখে পড়ার মতো। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে জাতীয় অ্যাথলেটিক্সে ১০ দশমিক ৫০ সেকেন্ড টাইমিং করে দেশের দ্রুততম মানব হয়েছিলেন তিনি। যেখানে ২১ বছরের পুরোনো রেকর্ড ভেঙে নতুন করে লিখেছিলেন এই অ্যাথলেট। এর আগে এই ১৯৯৯ সালে মাহবুব আলমের গড়া ১০ দশমিক ৫৪ সেকেন্ড সময়ে নিয়ে রেকর্ড গড়েছিলেন।\
স্পোর্টসমেইল২৪/এসকেডি