বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ২০১৯ সালে ঢাকার পূর্বাচলে ‘শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম’ নির্মাণের উদ্যোগ নিলেও করোনা সংক্রমণসহ নানা কারণে সেটি আর শুরু করা হয়নি। দীর্ঘদিন পরে হলেও স্টেডিয়ামটি তৈরির কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে বিসিবি। দেশর সবচেয়ে বড় এই স্টেডিয়ামটি নির্মাণের জন্য কনসালটেন্ট হিসেবে নিয়োগ পেয়েছে বিশ্ব বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান পপুলাস আর্কিটেকচার।
বিসিবি'র পঞ্চম সভায় কক্স আর্কিটেকচার ও পপুলাস আর্কিটেকচার নামে দু’টি কোম্পানিকে বাছাই করা হয়েছিল। দুটি কোম্পানিরই বিশ্বের বড় বড় স্টেডিয়াম তৈরির অভিজ্ঞতা আছে। যারা অলিম্পিক-ফিফা বিশ্বকাপের স্টেডিয়াম তৈরি করেছে। বিসিবি সবকিছু দেখে দুই কোম্পানির মধ্য থেকে পপুলাস আর্কিটেকচারকে নির্বাচন করেছে।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ষষ্ঠ সভা শেষে সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এ তথ্য জানিয়েছেন। নাজমুল হাসান পাপন বলেন, “পপুলাস আর্কিটেকচার প্রাইভেট লিমিটেড শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের ডিজাইন ও কনসালটিংয়ের জন্য কনসালটেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।”
নতুন এই স্টেডিয়ামে ক্রিকেটারদের অনুশীলনের জন্য নিউজিল্যান্ডের মাউন্ট মঙ্গানুইর মতো ইনডোর তৈরি করা হবে। বিসিবি সভাপতি বলেন, “নিউজিল্যান্ডের মাউন্ট মঙ্গানুইতে যেমন ইনডোর আছে তেমন হবে। উপরে ছাদ থাকবে, বৃষ্টির সময় বন্ধ করে দেওয়ার সুবিধা থাকবে। এছাড়া সূর্যের আলোর মধ্যে ক্রিকেটাররা অনুশীলন সুবিধা পাবে। মিরপুরের ইনডোর মাঠেও এ প্রযুক্তি যুক্ত করা হবে।”
ঢাকার পূর্বাচলে ‘শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম’টি হবে নৌকার আদলে। যার নকশা প্রকাশ করা হয়েছিল ২০১৯ সালে। তবে এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। ফলে প্রাথমিকভাবে ২০২৩ সালে স্টেডিয়াম প্রস্তুতের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হলেও সেটি এখন আর সম্ভব হচ্ছে না।
শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মূল স্টেডিয়ামের পাশাপাশি অত্যাধুনিক ক্রিকেট অ্যাকাডেমি, পর্যাপ্ত অনুশীলন মাঠ, ইনডোর মাঠ, খেলোয়াড়দের আধুনিক আবাসন ব্যবস্থা, বিসিবির সদর দফতর এবং একটি পাঁচ তারকা হোটেল থাকবে।