প্রথমবারের মতো কমনওয়েলথে রেসলিংয়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন নারী রেসলার শিরিন। সেমিফাইনালে উঠেও পদক হাত ছাড়া হওয়ায় উন্নত প্রশিক্ষণের অভাবকে দায়ী করেন তিনি।
কমনওয়েলথ গেমসের মিশন শেষে দেশে ফিরে আন্তর্জাতিক মানের কোচ ও প্রশিক্ষণের দাবি তুলেছেন দেশের অ্যাথলেটরা। ২১তম কমনওয়েলথে শুটিংসহ ছয়টি ইভেন্টে অংশ নেয় বাংলাদেশ।
এবার বাংলাদেশের অর্জিত দুটি রৌপ্য পদকই এসেছে শুটিং থেকে। আব্দুল্লাহ হেল বাকির পর পদক জেতেন শাকিল আহমেদ।
অল্পের জন্য ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে স্বর্ণ পদক হাত ছাড়ার আক্ষেপ করেন বাকি। জানিয়েছেন টোকিও অলিম্পিকে স্বর্ণ জিততে চান।
অন্য ইভেন্টের অ্যাথলেটদের ভালো মানের প্রশিক্ষণের আক্ষেপ থাকলেও বাকি অনুশীলন নিয়ে সন্তষ্টু।
শিরিন বলেন, ‘যদি পরবর্তী আসরে স্বর্ণ জিততে না পারি, তখনই আক্ষেপ থাকবে। আমরা শুটাররা আগের চেয়ে অনেক উন্নতি করেছি। আন্তর্জাতিক মানের ইকুয়েপমেন্ট এবং গ্রাউন্ডে আমরা অনুশীলন করি, গোল্ডকোস্টে যা আমাদের সহায়তা করেছে। শুটিংয়ে ছয়টি পদকের জন্য লড়েছে বাংলাদেশ, যা আগে কখনও দেখিনি আমরা।’
আগস্টে শুরু হবে এশিয়ান গেমস, তারই প্রস্তুতি নিতে দ্রুত অ্যাথলেটদের ট্রেনিং, ক্যাম্পিংয়ের ব্যবস্থা করার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ)।
বিওএ’র সহসভাপতি শেখ বশির আল মামুন বলেন, ‘বাকি, শাকিল ছাড়া অন্য চার শুটাররা ভালো করেছে, অলিম্পিকে স্বর্ণ জিতে বাংলাদেশের সব আক্ষেপ ঘোচাবে তারা, এই জন্য বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন থেকে সব ধরনের সহায়তা সামর্থ্য অনুযায়ী করা হবে।’