ক্রীড়াবিশ্বে প্রতিদিনই ঘটে কোনো না কোনো উল্লেখ্যযোগ্য ঘটনা। ঘটনা মনে থাকলেও সময় কিংবা তারিখ মনে রাখাটা কষ্টকর। ক্রীড়া বিশ্বে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলো স্মরণ করিয়ে দিতেই আমাদের এই আয়োজন। এক নজরে দেখে নিন ক্রীড়াবিশ্বে আজকের দিনে কি ঘটেছিল।
১৯৩৩ : ইংল্যান্ড দলের ‘বডিলাইন’ কৌশলে আগেই ধরাশায়ী অস্ট্রেলিয়া আপত্তিও তুলেছিলো এই টেস্টের আগে। কিন্তু অ্যাডিলেডে তৃতীয় টেস্টে ইংলিশ বোলারদের তোপ এতটাই আগ্রাসী ছিলো যে, একটি বল গিয়ে ঠিক বুকে লাগে অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক বিল উডফুলের, ঠিক দুই দিন পরে বার্টি ওল্ডফিল্ড একটি হুক মিস করলে তার মাথার খুলিই ফেটে যায়। পরে পুরো সিরিজটিই পণ্ড হওয়ার শঙ্কা থাকলেও শেষ পর্যন্ত ৩৩৮ রানের দাপুটে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইংলিশরা।
১৮৯৮ : টেস্টে এর আগেও ওভারথ্রোতে ছয় মেরেছেন অনেকেই। কিন্তু অ্যাডিলেডে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার জো ডার্লিং সেঞ্চুরি হাঁকানোর পথে আক্ষরিক অর্থেই বলকে পাঠিয়েছিলেন মাঠের বাইরে। আর তখন সীমানা রেখা উড়িয়ে পার করলেও রান মিলত সর্বোচ্চ পাঁচ। মাঠের বাইরে পাঠিয়ে সেই ছক্কাটিই টেস্ট সংস্করণে তাই প্রথম ছয় রান!
১৯৭৯ : ক্যারিবিয়ান ওপেনার ড্যারেন গঙ্গার জন্মদিন। জাতীয় দলের হয়ে টেস্ট ক্রিকেটে নিয়মিত হতে পারলেও সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বলার মতো কিছুই করতে পারেননি তিনি। অধিনায়ক রমেশ সারওয়ানের ইনজুরির কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজকেও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন গঙ্গা।
২০১৭ : এর আগের এক বছরে ব্যাট থেকে আসেনি কোনো সেঞ্চুরি। তাই ওয়ান্ডারার্সে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান হাশিম আমলার দায়মুক্তির ম্যাচ ছিল এটি। টেস্ট ইতিহাসের অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজের শততম টেস্টে সেঞ্চুরি করেন তিনি, খেলেন ১৩৪ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস।
১৯৬৯ : ইংলিশ পেসার মার্টিন বিকনেলের জন্মদিন। ১৯৯০-৯১ সালের অ্যাশেজে দলে ডাক পেলেও তার অভিষেক হয় ১৯৯৩ সালে। সে ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হেডিংলিতে ইনিংস ব্যবধানে হারে ইংলিশরা। এ ম্যাচটি ‘হেডিংলি বুশিং’ নামে পরিচিত। একই সিরিজে আরও একটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পান তিনি। এরপর ইনজুরির কারণে দল থেকে বাদ পড়েন তিনি। প্রায় ১০ বছর কাউন্টি ক্রিকেটের দারুণ পারফর্ম করে জাতীয় দলে ফেরেন। ২০০০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে দুই টেস্ট খেলে আবারও দল থেকে বাদ পড়েন বিকনেল।
১৯৩৭ : ইংলিশ পেসার কেন হিগসের জন্মদিন। ক্যারিয়ারের চারবার হ্যাটট্রিক করেছিলেন তিনি। তিনবার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এবং একবার ওয়ানডেতে। ১৯৭৪ সালে বেনসন এন্ড হেজেস কাপের ফাইনালে সেঞ্চুরি করেন তিনি। বেশ আগেই আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারকে বিদায় জানালেও ৪৯ বছর বয়সে ১৯৮৬ সালে ইনজুরি সংকটে দল সাজাতে না পারলে আবারও দলে ফেরেন কেন হিগস। ইয়র্কশায়ারের বিপক্ষে সে ম্যাচে উইকেটও শিকার করেছিলেন তিনি। এছাড়াও ১৯৬৬ সালে ওভালে জন স্নোর সাথে ১২৮ রানের জুটি করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দলকে বড় সংগ্রহ এনে দেন। লিচস্টারশায়ারের হয়ে রে ইলিংওর্থের সাথে জুটি গড়ে ৫২৭ রানের ভিত গড়ে দেন।
১৯৮৩ : অজি স্পিনার জেসন ক্যারেইজার জন্মদিন। অভিষেক টেস্টে নাগপুরে ১২ উইকেট শিকার করলেও ক্যারিয়ার বড় করতে পারেননি। অভিষেক টেস্টের পর মাত্র এক টেস্ট খেলতে পেরেছিলেন তিনি।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর
[আমরা এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ইনস্টল করুন আমাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপস ]