ক্রীড়াবিশ্বে প্রতিদিনই ঘটে কোনো না কোনো উল্লেখ্যযোগ্য ঘটনা। ঘটনা মনে থাকলেও সময় কিংবা তারিখ মনে রাখাটা কষ্টকর। ক্রীড়া বিশ্বে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য স্মরণ করিয়ে দিতেই আমাদের এই আয়োজন। এক নজরে দেখে নিন, ক্রীড়াবিশ্বে আজকের দিনে কি ঘটেছিল।
২০০৮ : ভারত-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার সিডনি টেস্টে বাকবিতন্ডায় জড়ান ভারতের হরভজন সিং এবং অস্ট্রেলিয়ার অ্যান্ড্রু সাইনমন্ডস। ঘটনা ক্রিকেট বিশ্বে মানকিগেট কেলেঙ্কারি নামে পরিচিতি পায়। এ ঘটনার জন্য জরিমানার শিকার হন দুইজনই।
১৯৫৯ : ভারতীয় অধিনায়ক কপিল দেবের জন্মদিন। ভারতের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক তিনি। এছাড়াও প্রথম অলরাউন্ডার হিসেবে টেস্টে ৪ হাজার রান এবং ৪শ উইকেট শিকারের কীর্তিও তার দখলে।
২০০৪ : অস্ট্রেলিয়ান গ্রেট স্টিভ ওয়াহ তার ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলতে নামেন এ দিনে। ভারতের বিপক্ষে সিডনিতে তিনি এ ইনিংস খেলেন। এ টেস্টেই ভারতের হয়ে শচীন টেন্ডুলকার এবং ভিভিএস লক্ষ্মণ চতুর্থ উইকেট জুটিতে করেন ৩৫৩ রান। চতুর্থ উইকেট জুটিতে এটাই ভারতের সর্বোচ্চ সংগ্রহ।
২০০৬ : সিডনিতে নিজের শততম টেস্ট খেলতে নেমেছিলেন রিকি পন্টিং। আর সেঞ্চুরি করেছিলেন দুই ইনিংসেই, প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্টের দুই ইনিংসেই হান্ড্রেড করার রেকর্ডও হয়েছিল এতে। আট হাজার রানের মাইলফলক বেরিয়েছিলেন ওই টেস্টেই, প্রথম ইনিংসে ৫৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলা দলকেও জয় এনে দিয়েছিলেন ৮ উইকেটে।
১৯৮৪ : গ্রেগ চ্যাপেল, রডনি মার্শ, ডেনিস লিলি - এক সঙ্গে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলেছিলেন এই ত্রয়ী। চ্যাপেল তো পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ টেস্টেও করেছিলেন ১৮২। বিদায়বেলায় চ্যাপেলের টেস্ট রান ৭১১০, মার্শের পাশে ১২২ ক্যাচ, লিলির সঙ্গী ৩৫৫ উইকেট - সবগুলোই টেস্ট রেকর্ড ছিল তখন। 'ক মার্শ ব লিলি' তো এখনো টেস্টে সবচেয়ে বেশিবার দেখা ডিসমিসাল।
১৯৭৭ : এই দিনে কলকাতা টেস্টে সবচেয়ে বেশি দর্শক খেলা দেখতে আসেন। এ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত এবং ইংল্যান্ড।
১৯৪৮ : কিউই পেসার ডেইলি হ্যাডলির জন্মদিন। তবে তিনি বড় ভাই স্যার রিচার্ড হ্যাডলির মতো এতো কার্যকর ছিলেন না। শুধু এ দুই ভাই নয়, তাদের আরেক ভাই ব্যারি হ্যাডলিও খেলেছিলেন নিউজিল্যান্ডের হয়ে। তাদের বাবা ওয়াল্টার হ্যাডলিও নিউজিল্যান্ডকে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন।
১৯৪৭ : ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকান পেসার রে লিন্ডওয়াল। প্যাট কামিন্সে আগে তিনিই ছিলেন পেস বোলার হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার সর্বশেষ অধিনায়ক। অর্ধশতক করার পর সেঞ্চুরি করতে মাত্র ৩৭ মিনিট সময় নেন তিনি।
১৮৯১ : কিংবদন্তি পেসার টেড ম্যাকডোনাল্ডের জন্মদিন। সম্ভাবনা থাকার পরও মাত্র ১১ টেস্টেই থেমে গেছিলো তার ক্যারিয়ার। তবে কাউন্টি ক্রিকেটে ল্যাঙ্কাশায়ারকে জিতিয়েছিলেন চারটি কাউন্টি শিরোপা।
১৯৩৫ : পেসার ইয়ান ম্যাককিফের জন্মদিন। মূলত চাকিংয়ের অভিযোগে তার ক্যারিয়ার শুরুতেই থমকে গিয়েছিল। ১৯৫৮-৫৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলতে গিয়ে এ সমস্যায় পড়েন তিনি। এছাড়াও তার রান আউট হয়ে যাওয়ার সৌজন্যে টেস্ট ক্রিকেট প্রথমবারে মতো ড্র ম্যাচ দেখে।
১৯৩০ : সিডনিতে শেফিল্ড শিল্ডের ম্যাচে ৪৫২ রানের ইনিংস খেলেন স্যার ডন ব্রাডম্যান। এটি ছিলো তখনকার সময়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ। পরে এ রেকর্ড পাকিস্তানের কিংবদন্তি হানিফ মোহাম্মদ (৪৯৯)। অবশ্য হানিফ মোহাম্মদের এ রেকর্ডও টেকেনি। পরবর্তীতে এ রেকর্ড নিজের করে নেন ব্রায়ান লারা (৫০১*)। এ রেকর্ড এখনও লারা দখলেই রয়েছে।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর
[আমরা এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ইনস্টল করুন আমাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপস ]